গণপরিবহনে শুধুই নির্দেশনা, তদারকির কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ মে ২০২১, ০১:৫৮

গণপরিবহনে শুধুই নির্দেশনা, তদারকির কেউ নেই

করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউন শিথিল করে ৫ নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা শহরের বাস চালানোর অনুমতি দিলেও চালকরা তা মানছেন না। বাসের অর্ধেক সিট ফাঁকা না রেখে ও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে বাস চালানো হচ্ছে। সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত নির্দেশনাগুলো অমান্য করলেও তদারকির যেন কেউ নেই।

লকডাউনের ২২ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরে গতকাল সড়কে চলাচলের অনুমতি মিললেও আগের চিত্র ফুটে উঠেছে। বিধিনিষেধের পর বাস চলাচলের দ্বিতীয় দিনেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না পরিবহন চালকরা। গাড়িতে অর্ধেকের বেশি যাত্রী, অতিরিক্ত ভাড়া নিলেও ও জীবাণুনাশক স্প্রে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ গণপরিবহন চলাচলে গত বুধবার (০৫ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এক বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচ দফা নির্দেশনা হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো- আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০%) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না, কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০% বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে, পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (০৭ মে) সরকারি ছুটির দিন হলেও সকালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আন্তঃজেলা বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর রুটে বাস চলাচল করছে। আর গাবতলী, গুলিস্তান, পল্টন ও উত্তরায় বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top