আলুর কেজি ৫০ টাকাই, উপেক্ষিত সরকারী নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২০, ২২:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার দু’দফা ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করলেও শেষ পর্যন্ত সেই নির্দেশনা কেউই মানেননি। ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে দ্বিতীয় দফায় খুচরা মূল্য ৩০ থেকে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পরও খুচরা বাজারে আলুর মূল্যের কোন হেরফের হয়নি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও মহল্লার খুচরা দোকানগুলোতে যাচাই করে দেখা গেছে প্রতিকেজি আলু এখনো ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

আর এজন্য যথারীতি পাইকারী বিক্রেতারা হিমাগার ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতারা পাইকারী বিক্রেতাদের দায়ি করেছেন।

তবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ার জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ি করেছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ বিশিষ্টজনদের। ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অনেকে আবার ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনারও পরামর্শ দেন।

রাজধানীর বাড্ডা, নতুনবাজার, রামপুরা, জুড়াইন, কমলাপুর, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, মালিবাগ ও মালিবাগ রেলগেট বাজার খুচরা ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকায় বিক্রি করতে। তবে মহল্লার দু’একটি দোকানে তুলনামূলক ছোট বা  নিম্নমানের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে।

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে আলুর দাম অনেক বেশি।‘দাম কমানো না হলে তাদের পক্ষে কম মূল্যে আলু বিক্রি করা সম্ভব না।

আর পাইকারী বিক্রেতা ও আড়তদারদের দাবি, হিমাগার থেকে ন্যায্য মূল্যে আলু ছাড়া হয় না। হিমাগাড় থেকে আড়ত পর্যন্ত আনতে প্রতিকেজি আলুতে ৩৫ টাকা খরচ হয়। কিন্তু এরপরও লোকসান দিয়ে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করছি।

তবে পাইকারী বিক্রেতাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, খুচরা বিক্রেতারা বেশি লাভের করেন। তারা আমাদের কাছ ৩০ থেকে ৩২ টাকায় কিনে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ আলুর দাম যখন ১৫ থেকে ২০ টাকা ছিলো তখন তারা কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা লাভ করতো। কিন্তু বাজার একটু উর্দ্ধমূখি  হলেই তারা কেজি প্রতি ১০ টাকার বেশি লাভ ছাড়া বিক্রি করেননা। এতে তাদের দায় পড়ে আমাদের ওপর।

এদিকে, আলু ছাড়াও পেঁয়াজ, চাল ও তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তারা সরকারের কাছে এর দ্রুত সমাধান কামনা করেছেন। কঠোর নজরদারি ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে করছেন তারা।

এনএফ/এমকে/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top