এসকে সিনহার মামলায় আরো তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২০, ১৮:০৮

S K Sinha

নিজস্ব প্রতিবেদক। নিউজফ্ল্যাশ ৭১.কম

Newsflash71
S K Sinha

ঢাকা:  ফারমার্স ব্যাংকের(বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভি‌যো‌গ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ আসামীর বিরুদ্ধে আরো তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদ‌ক)।

সাক্ষ্যদাতা তিনজন হলেন- দুদ‌কের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম, পদ্মা ব্যাংকের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) ও অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার রেজাউল হাসান।

এর মধ্যে মনিরুল ইসলাম মামলার রেকর্ডিং কর্মকর্তা এবং পদ্মা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা জব্দ তালিকার সাক্ষী।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার চতুর্থ বি‌শেষ জজ শেখ নাজমুল আলম তাদের সাক্ষ্যগ্রহণশেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এই মামলায়  সবমিলিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

মামলার শুনানীতে কারাগারে থাকা আসামি মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতির পাশাপাশি জামিনে থাকা এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন ক্রেডিট প্রধান কাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক এমডি এবিএম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন কুমার সাহাকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলায় এসকে সিনহা ছাড়াও পলাতক ৪ আসামির বাকিরা হলেন- ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, সাভারের শ্রীমতি সান্ত্রী রায় (সিমি) ও শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।

গত ১৩ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়ার পর  ১৮ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল সাক্ষ্য দেয়ার পর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

গত ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র  আদালতে দাখিল করা হয়। অভিযোগত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আর তদন্তকালে এজাহারনামীয় আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (গুলশান) মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top