পাপিয়া দম্পতির অবৈধ সম্পদ নিয়ে সেপ্টেম্বরে দুদকের প্রতিবেদন
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০২০, ১৭:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক। নিউজফ্ল্যাশ ৭১.কম
ঢাকা: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৬ আগস্ট) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন দিন নির্ধারণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
গত ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ বলা হয়- ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি।
পাশাপাশি ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসা ভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করা এক কোটি টাকা, নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশানে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
এছাড়া, র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার উদ্ধার করা গাড়িরও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-২ এর একটি দল নয়াদিল্লি যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন গেট থেকে পাপিয়া পিউকে আটক করে।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই বেশি পরিচিত বলে জানায় র্যাব। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।