সুপার শপ- যেন মধ্যবিত্তের টিসিবি
মিজানুর রহমান | প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪২
বর্তমান ও নিকট অতীতে আমাদের চারপাশে একটা হাহাকার কমবেশি সবাই অবলোকন করেছেন। সেটা হলো নিত্যপণ্যের মূল্য কারসাজি।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত প্রায় সকলেই এই নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্হায় নাকাল। প্রায়শঃই পত্র পত্রিকায় উঠে আসে মানুষের দুর্বিসহ নাভিশ্বাস পরিস্থিতির তরতাজা সংবাদ। সরকার, প্রশাসন হিমসিম খায় এহেন পরিস্থিতিতে অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণের কারিগরা থাকে বহাল তবিয়তে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এতো বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনেও সেই পরিস্থিতি থেকে মানুষের মুক্তি মিলেনি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মুল্যের অস্থিতিশীলতায় দিক ভ্রান্ত নিম্নবিত্ত মানুষ সামান্য সাশ্রয়ের লক্ষ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ে টিসিবি’র ট্রাকের পিছনে। দীর্ঘ সময় প্রতীক্ষার পরে লাইনে দাঁড়িয়ে হুড়োহুড়ি আর ধাক্কাধাক্কি হজম করে যে খাদ্যপণ্য পায় তাতেই মন্দের ভালো জ্ঞান করে।
বর্তমানে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষও এই সংকটের বাইরে নয়। তাদের জন্য আরও বড় সংকট হলো লোকলজ্জা আর সামাজিকতা। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ চাইলেই কোথাও হাত পাততে পারেন না,পারেন না নিঃসংকোচে টিসিবি’র ট্রাকের লাইনে দাঁড়াতে। তাঁরাও সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এদিক ওদিক ছুটে।
রাজধানীসহ সারাদেশে যে সকল সুপার শপ হয়েছে সে গুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করেন অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। তবে সকল শ্রেণীর ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে সুপার শপ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ভাবে নানা পণ্যের মূল্যে নানা ধরনের ছাড় দিয়ে থাকে।
এই সামান্য ছাড়ের হাতছানিতেই সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটা করতে আসা মানুষ গুলো ভীড় করে সুপার শপে। বিশেষ বিশেষ সময়ে এই ভীড় চোখে পড়ার মতো হয়। অনেকের মনোভাব হয় প্রতিযোগীতা মূলক। এই পরিস্থিতি সহজেই মনে করিয়ে দেয় টিসিবি’র ট্রাকের পিছনের লম্বা লাইনের কথা। আর সেজন্যই বলতে ইচ্ছে হয় সুপার শপ গুলো যেন মধ্যবিত্তের কাছে টিসিবি’র ট্রাক।
সম্পাদনা/ রাহুল রাজ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।