বাংলা এখন নতুন কণ্ঠে — গ্র্যান্ড লঞ্চে যাত্রা শুরু বাংলা এডিশনের

সহনশীলতা ছাড়া গণতন্ত্র অসম্ভব—রাজনৈতিক নেতাদের স্পষ্ট বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৫:০৩

ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতার খেলা নয়—এটি সহনশীলতার, শ্রদ্ধার, আর ভিন্নমতের সহাবস্থানের পথ। আর এই কথাগুলোই নতুন করে উচ্চারিত হলো রাজধানীর এক আয়োজনে—বাংলা এডিশনের গ্র্যান্ড লঞ্চ সিরেমনি অনুষ্ঠানে। যেখানে কথা নয়, উঠে এলো একটি মূল্যবোধের আর্তি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন—রাজনীতির সংস্কার মানে হলো সহনশীলতার চর্চা। গণতন্ত্র টিকে থাকে তখনই, যখন আমরা একে অন্যের ভিন্নমতের প্রতি সম্মান দেখাই। সম্মান বজায় রেখেই ভিন্নমত পোষণ সম্ভব—আর এই জায়গাটায় কোনো ছাড় দেওয়া যায় না।

এই আয়োজনে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য—মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি রাজনীতির তরুণ প্রজন্মকে দেখলেন আশার আলো হিসেবে।

বাংলাদেশে যেমন শেখ হাসিনারা ছিলেন, তেমনি আজও আছেন আবু সাঈদের মতো তরুণরা। আমাদের সবাইকে এখন সতর্ক থাকতে হবে—কারণ অতীত বারবার ফিরে আসে, যদি আমরা ভুলে যাই। তাঁর কণ্ঠে ছিল হুঁশিয়ারি—তবে তা ছিল আশার বুননে গাঁথা।

এ সময় রাজনৈতিক ভণ্ডামির কঠোর সমালোচনা করেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি সরাসরি বলেন— নেতারা যা বলেন, তা নিজেরাও বিশ্বাস করেন না। মঞ্চে উঠে মিথ্যার ফুলঝুরি ছড়ান—অন্তরে থাকে এক কথা, বাস্তবে বলেন আরেক কথা। এই মিথ্যাচার আর আত্মপ্রবঞ্চনা থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করতে হবে। এই দ্বিচারিতা বর্জন না করলে, রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা কখনোই ফিরবে না।

এ এক দুপুর ছিল আত্মবিশ্লেষণের, নতুন রাজনীতির স্বপ্ন দেখার। যেখানে কথা ছিল বাস্তবের, উপলব্ধি ছিল দায়িত্বের। বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে যখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, এই সহনশীলতার আহ্বান হয়তো আগামী দিনের জন্য হয়ে থাকবে এক নতুন আলো।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top