ফারদিন হত্যার কোনো সুনির্দিষ্ট ক্লু এখনও পাইনি: ডিবি প্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০১:১৭
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো অজানা। ৪ নভেম্বর রাত ১০টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত তার ঘনঘন স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
এ রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন তারা। তদন্তসংশ্লিষ্টদের ধারণা, রাজধানীর যে কোনো স্থানে অথবা নারায়ণগঞ্জে কয়েতপাড়া এলাকায় কিছু একটা ঘটেছে। এর জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এছাড়া ফারদিনের লাশ উদ্ধারের কাছাকাছি সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে আরেকটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই লাশের সঙ্গে ফারদিন হত্যার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রকৃত ঘটনা এখনো বের করতে পারিনি। ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনো বলিনি, ফারদিন নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় গিয়ে মাদকের কারণে মারা গেছেন।
আবার মামলার আসামি ফারদিনের বন্ধুকে আমরা গ্রেফতার করেছি, তিনিই খুন করেছেন, সেটিও কিন্তু আমরা বলছি না। আমরা পারিপার্শ্বিকতা, বিভিন্ন বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করছি। আমাদের তদন্ত দল সব বিষয়, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে চুলচেরা পর্যালোচনা করছে।
ডিবি প্রধান বলেন, ফারদিন ঢাকার কোনো এক জায়গায় খুন হতে পারেন বলে মনে হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার কোনো সুনির্দিষ্ট ক্লু পাইনি। ফারদিনের মোবাইলের ডাটা অ্যানালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় তিনি যার সঙ্গে কথা বলেছেন সবকিছু মিলিয়ে দেখছি। মোবাইলের লোকেশন নারায়ণগঞ্জেও পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নিহতের বাবা প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। পরে তিনি মামলা করেন। মামলায় এক নম্বর আসামি বুশরাকে গ্রেফতার করেছি। পাশাপাশি মামলার এফআইআরে তার নাম আসায় আমরা মনে করছি না, তিনিই দায়ী। তাকে রিমান্ডে এনে আমরা কথা বলছি।
ঢাকা শহরে ফারদিন যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন আমরা বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে খুঁজে বের করেছি। তবে কোনো নিশ্চিত তথ্য বের করতে পারিনি। আমাদের কাজ চলছে। আশা করছি, শিগগিরই ঘটনার রহস্য বের করতে পারব।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।