হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সাল করিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির গ্রেপ্তার

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানিয়েছে, ঘটনার কয়েক দিন আগে কবির ফয়সাল করিমের সঙ্গে বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, আগের দিন রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হচ্ছে।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্যমতে, কবিরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামে। ফয়সাল করিম মাসুদের গ্রামের বাড়িও পটুয়াখালীতে।

ইন্তেখাব চৌধুরী আরও জানান, গত ৫ ডিসেম্বর কবির ফয়সাল করিমের সঙ্গে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে যান। প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানোর পর কবির তা স্বীকার করেন। তিনি জানান, সেদিন তারা প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দেখতেই সেখানে গিয়েছিলেন।

এদিকে, হাদিকে গুলির ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে প্রথমে র‌্যাব আটক করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরবর্তীতে হত্যাচেষ্টার মামলায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকেও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এছাড়া গুলিবর্ষণকারীদের পালানো ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারির মধ্যে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী গুলি করেন। গুলিটি তার মাথায় লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তার অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’ বলে জানান। সোমবার তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।