আপনি জানেন কি,আকিকার উত্তম সময় কখন?
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:৩০
আকিকা শব্দের অর্থ মাতৃগর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের চুল। ওই পশুর নামও আকিকা, যা নবজাতকের জন্মের সপ্তম দিনে জবাই করা হয়। দ্বিতীয় অর্থের আলোকে আকিকা পারিভাষিকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে জন্মের সপ্তম, ১৪তম বা ২১তম দিনে কিংবা পরে যেকোনো সময়ে আকিকা করা যায়।
ছেলেসন্তানের পক্ষ থেকে একই ধরনের দুটি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আকিকা করতে হয়। উম্মে কুরজ (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ছেলের জন্য এক ধরনের দুটি ছাগল এবং মেয়ের জন্য একটি ছাগল আকিকা করবে। তবে ছেলের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আকিকা করলেও মুস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে। যদিও দুটি করা উত্তম।
আরও পড়ুন>>> কুইবেক ইসলামী সাংস্কৃতিক পুরস্কার পাচ্ছেন কোন নারী?
আকিকার গোশত কোরবানির গোশতের মতোই। কাঁচা ও রান্না করা উভয়টিই বণ্টন করতে পারবে। সর্বস্তরের লোক তা খেতে পারবে; এমনকি নিজের মা-বাবা, নানা-নানি, ধনী-গরিব সবাই নিশ্চিন্তে আকিকার গোশত খেতে পারবে।
সপ্তম দিনে আকিকা করা মুস্তাহাব। ইসলামী শরিয়তের যেসব বিধান দিন-তারিখ, মাস-বছরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেগুলো চাঁদের হিসাবে গণনা করতে হয়। সুতরাং এই সাত দিন গণনা করতে হবে চাঁদের হিসাবে। আর চাঁদের ক্ষেত্রে দিন বা তারিখ শুরু হয় সূর্যাস্তের পর থেকে। সুতরাং সন্তান যদি শুক্রবার সূর্যাস্তের পর জন্ম নেয়—তার অর্থ সে শনিবারে জন্ম নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তার সাত দিন গণনা শুরু হবে শনিবার থেকে, শুক্রবার থেকে নয়।
আমাদের দেশে কোনো কোনো স্থানে আকিকার অনুষ্ঠান করার প্রচলন আছে। আকিকার গোশত আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়াতে গেলে অনুষ্ঠানের মতো হয়ে যেতে পারে। এতে অসুবিধা নেই। আকিকার সময় যদি কেউ লোকজনকে দাওয়াত দেয় এবং লোকেরা যদি আসে, খাওয়াদাওয়া করে এবং ছোট শিশুকে সামাজিক সংস্কৃতি অনুযায়ী কিছু উপহার দেয়, তাহলে এটি নাজায়েজ নয়। ইসলামে উপহার দেওয়ার প্রচলনও আছে। এটি সৌহার্দ্য, ভালোবাসা, আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। তবে এটা বাধ্যতামূলক কোনো বিষয় নয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।