শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১

টঙ্গীতে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করার ঘোষণা সাদপন্থিদের

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:০০

ফাইল ছবি

টঙ্গীতে আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করার ঘোষণা দিয়েছে সাদপন্থিরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সাদপন্থির মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম এ তথ্য জানান।

এদিকে আলমি শুরার (জুবায়েরপন্থি) তত্ত্বাবধানে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ৫৮তম এ বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। আগের দেওয়া তারিখ অনুসারে দ্বিতীয় পর্ব ৭-৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ে সরকার এখনো স্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেয়নি। সাদপন্থিরা দ্বিতীয় পর্ব করবেন বলে জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

আর শুরায়ি নেজাম (জুবায়েরপন্থি) সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ করতে আন্দোলন করছেন। তারা নিষিদ্ধ হলে ইজতেমা করতে পারবে না বলে শুরায়ি নেজামের অনুসারীদের দাবি। এর মাঝেই সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, তারা আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করবেন।

তিনি বলেন, এবার আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে সরকার। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, ইনশাআল্লাহ মজলুমের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। টঙ্গীর সহিংসতা ঘটনার আগের থেকেই সরকার আমাদের সঙ্গে ওয়াদা খেলাফ করেছে।

মো. সায়েম অভিযোগ করে বলেন, টঙ্গী ঘটনার পরে সরকার বিচারাধীন বিষয় আমাদেরকে দোষী বানানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়া আমাদের নিহত সাথীর পক্ষে থানায় মামলাও গ্রহণ করেনি।

তিনি আরও বলেন, হেফাজতকে দুই পর্বের ইজতেমার অনুমতি দেয় এবং শুধু তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ফয়সালা করে। আর আমাদের ১৪ তারিখ ইজতেমা করতে সরকার চাপ দেয়। মেহনতকে সামনে রেখে আমাদের বড়রা শুক্রবার ফয়সালা করেন যে, ইনশাআল্লাহ আমরা ১৪, ১৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার টঙ্গীর ময়দানে করব।

মো. সায়েম আরও বলেন, এই বছরের পরে টঙ্গী ময়দানে আমরা আর ইজতেমা করতে পারবেন না এ বিষয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালার পক্ষ থেকে একটি লিখিত দিতে বলা হয়েছিলো। তখন তাদের জানানো হয়, এই বিষয়ে লিখিত রাখার এখতিয়ার তাদের নেই। কিসের ভিত্তিতে আপনারা আমাদেরকে এই বিষয়ে লিখিত দিতে হবে। তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে জানানো হয়, এই বিষয়টি তাদের সিদ্ধান্ত। তখন আমরা তাদের বলেছি, সেই সিদ্ধান্তর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে লিখিত দেন। এরপর আমরা চিন্তা করব লিখিত দেয়া যায় কিনা।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top