রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কোরআন নাযিলের স্থানঃ জাবাল আল নূর বা হেরা পর্বত

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:২৭

ছবি: জাবাল আল নূর

জুনায়েদ আলী সাকী। নিউজফ্ল্যাশ৭১.কম

জাবাল আল নূর। বাংলায় আলোর পাহাড়। ইংরেজিতে ‘Mountain of the Light’| মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান। কারণ এই পাহাড়ে আছে গারে হেরা বা হেরা গুহা। এই স্থানে নাযিল শুরু হয় পবিত্র কোরআন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে পবিত্র কোরআনের সূরা আল আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নিয়ে আসেন ওহীর ফেরেশতা জিবরাইল আঃ।

ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ৪০ বছর বয়সে, ৬১০ খ্রিষ্টাব্দের রমজান মাসে নাযিল হয় মহাগ্রন্থ আল কোরআনের এ পাঁচ আয়াত। নবীজীর বাকী জীবনের ২৩ বছর ধরে বিভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে নাযিল হতে থাকে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের সূরা ও আয়াত। এভাবে মানব জাতির পথ প্রদর্শক হিসেবে পৃথিবীতে সবশেষ আসমানী কিতাব পাঠান মহান খোদা তায়ালা।

বিখ্যাত হাদীস সংগ্রহকারী মুহাম্মদ আল বুখারী, যিনি ইমাম বুখারী হিসেবে বেশি পরিচিত, তিনি জানান- কোরআন নাযিলের ঘটনা বর্ণনা করেন  নবীজীর স্ত্রী খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রাদিয়াল্লাহু আনহা। জাবাল আল নূরের হেরা গুহায় এসে নবীজীকে পড়তে বললেন ফেরেশতা জিবরাইল আঃ। কিন্তু নবীজী উত্তরে বললেন, আমি পড়তে জানিনা। তখন নবীজীকে জিবরাইল আঃ জোরে আঁকড়ে ধরলেন এবং ছেড়ে দিয়ে আবারও পড়তে বললেন। এভাবে একই ঘটনা তিনবার শেষে হযরত জিবরাইল আঃ নবীজীকে মহান খোদা তায়ালার নামে পড়তে বললেন। তখন নবীজী সফলভাবে পড়তে সক্ষম হন পবিত্র কুরআনের সূরা আল আলাকের এ আয়াতগুলো।

জায়গাটি সৌদি আরবের হেজাজ অঞ্চলে মক্কা প্রদেশের অন্তর্গত। মক্কার মসজিদুল হারম বা ক্বাবা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এর অবস্থান। ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৬৪০ মিটার বা ২ হাজার ১০০ ফুট। জাবাল আল নূরের হেরা গুহায় যেতে পার হতে হয় ১৭৫০টি সিঁড়ি। প্রতিদিন শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান দেখতে আসেন কুরআনের প্রথম সূরা নাযিলের স্থানটিতে। তবে সিঁড়িগুলো অতিক্রম করতে গিয়ে অনেকেই হয়ে পড়েন ক্লান্ত। এতেই বুঝা যায়, কতটা কঠিন পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা।

তখনকার দিনে  এমন উঁচু, দুর্গম ও জনমানব শূণ্য স্থানে নবীজীর ধ্যানে মগ্ন হওয়া সত্যিই আশ্চর্যের।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top