১১০ বছর বয়সে স্কুলে ফিরলেন সৌদি আরবের যে নারী

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২৩, ০১:০৬

ছবি: সংগৃহীত

‘কখনও না করার চেয়ে দেরিতে ভাল’- কথাটি যেন নতুন করে প্রমাণ করেছেন ১১০ বছর বয়সী এক সৌদি নারী। নাম তার নওদা আল-কাহতানি।

আসলে শেখার কোনো শেষ নেই বলেই এ বয়সে নতুন করে আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু করে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন তিনি। পড়াশোনায় আগ্রহ থাকায় স্থানীয় আল-রাহওয়া সেন্টারের সহায়তায় নতুন করে বিদ্যালয়ে ফিরেছেন এই নারী।

আল-কাহতানির বাড়ি সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উমওয়াহ এলাকায়। আল-কাহতানির সন্তান চারজন। বড় সন্তানের বয়স ৮০ এবং ছোট সন্তানের বয়স ৫০-এর কোটায়।

বয়স, সংসার এসব কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি আল-কাহতানির পড়াশোনা শুরুর পেছনে। এই নারী জানান, পড়তে আর লিখতে পারা তার জীবন বদলে দেবে।

এই তাড়না থেকেই কয়েক সপ্তাহ আগে আল-রাহওয়া সেন্টার পরিচালিত নিরক্ষরতা দূর করার একটি প্রকল্পে যোগ দিয়েছেন আল-কাহতানি। ৫০ জনের বেশি সহপাঠীর সঙ্গে ক্লাস করছেন ও নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন।

আল-কাহতানির ক্লাসে বিভিন্ন বয়সের সহপাঠী রয়েছেন। তারা সবাই একসঙ্গে অক্ষরজ্ঞান শিখছেন এবং পবিত্র কোরআনের আয়াত চর্চা করছেন।

এই বয়সে এসেও প্রতিদিন ক্লাস করা, পড়াশোনা করা, শিক্ষকের দেওয়া বাড়ির কাজ করা বেশ উপভোগ করছেন আল-কাহতানি। তিনি জানান, প্রতিদিনের বাড়ির কাজেও তিনি ফাঁকি দেন না। দিনের কাজ দিনেই শেষ করেন।

শতবর্ষী আল-কাহতানির নতুন করে পড়াশোনা শুরু করাকে সমর্থন জানিয়েছেন তার সন্তানেরা। সন্তানেরা মনে করেন, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তাদের মায়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে কারও কিছু করার ছিল না।

তার ৬০ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে মাকে কেন্দ্রে নিয়ে যাই। ক্লাস শেষে মায়ের জন্য অপেক্ষা করি। আমি খুব খুশি এবং গর্বিত। মা প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছেন।

সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ গোটা রাজ্যজুড়ে নিরক্ষরতা দূর করতে আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের অঞ্চলটি সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষরতামুক্ত হোক। নিরক্ষরতা দূর করার জন্য প্রত্যেককে অবশ্যই এক হতে হবে। এটা আমাদের ছেলে-মেয়েদের সমানভাবে সুবিধা দেবে। ভবিষ্যতে তারা ভালো চাকরির সুযোগ পাবে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top