মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

ভয়ঙ্কর এই ব্রাজিলকে আটকানোর সাধ্য কার

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৪১

‘দিস ইজ ব্রাজিল, দিস ইজ বিউটিফুল গেম’-ধারাভাষ্যকারের মুখে কয়েকবারই উচ্চারিত হয়েছিল এমন শব্দবন্ধ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল যে নান্দনিক ফুটবল উপহার দিয়েছে, তা দেখে ধারাভাষ্যকার কেন ফুটবল-ভক্ত মাত্রই মুগ্ধ হতে বাধ্য। স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোরে নেইমার, ভিনিসিউস জুনিয়র, রিচার্লিসন,পাকেতারারা রীতিমতো ফুটবল শৈলীর পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন যেন! এক সমর্থক যেমন মন্তব্য করেছেন, শুধু পাঁচ বিশ্বকাপ জেতার জন্য না। এই সব মোহনীয় মুহূর্তের জন্যই ব্রাজিল অনন্য।

হেক্সা মিশনে কাতারে গেছে ব্রাজিল। তবে গ্রুপপর্বে কোথায় যেন সুরটা কেটে যাচ্ছিল। তার ওপর দলের প্রাণভোমরা নেইমারের ইনজুরিও ছন্দপতন ঘটায় দলে। আর তাই ইনজুরি কাটিয়ে নেইমার ফিরতেই চেনা ছন্দের ভয়ঙ্কর সেই ব্রাজিলকে দেখল ফুটবলবিশ্ব।

গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচে মাত্র তিনবার প্রতিপক্ষের জালভেদ করতে পেরেছিল ব্রাজিল, যা ১৯৭৮ বিশ্বকাপের পর গ্রুপপর্বে ব্রাজিলের সবচেয়ে কম গোলের রেকর্ড। তার সবশেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে হারের দগদগে ক্ষত এবং গোল করতে না পারা—সব মিলিয়ে নেইমারদের মধ্যে একটি বিস্ফোরণ দেখার অপেক্ষা ছিল। সেটাই যেন আজ দেখা গেল।

বিশ্বসেরা আক্রমণভাগের দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর ভাসে গোল বন্যায়। পর্তুগালকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতে ওঠে ব্রাজিল। ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই ভিনিসিউস-রাফিনিয়া-রিচার্লিসনরা জাদুতে বুঁদ হয় ফুটবলভক্তরা। গোলও ধরা দিতে থাকে একের পর এক। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সবশেষ দেখায় গুণে গুণে পাঁচ গোল দিয়েছিল ব্রাজিল। সেই দলটির বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হতেই গেল জুনের ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল ব্রাজিল, আজ যেন শুরু করল সেখান থেকেই।

বিশ্বকাপে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে চার গোল করল ব্রাজিল। ১৯৫৪ আসরে মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রথম এমন কিছু করেছিল তারা। যদিও প্রথমার্ধের চার গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান

ব্রাজিলের সম্রাট পেলের শুভকামনা বিফলে যায়নি। হেক্সা মিশনে আরও কাছাকাছি চলে গেছে তার উত্তরসূরীরা। গ্রুপপর্বে ক্যামেরুনের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারের পর এমন পারফরম্যান্স খুবই প্রয়োজন ছিল ব্রাজিলের জন্য। সেটা তো তারা করেছেই, বিশ্বকাপের বাকি প্রতিপক্ষদেরও একটা বার্তাও দিয়ে রাখল তারা। নেইমার-রিচার্লিসনদের ভয়ঙ্কর এই ব্রাজিলকে রুখবে কে, এমন প্রশ্নও এতক্ষণে উঠে গেছে সারাবিশ্বে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top