অস্ট্রেলিয়াকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭

দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ বল থাকতে ২৬৪ রানে অলআউট হয় অজিরা। জবাবে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস এবং শ্রেয়াস আইয়ার ও কেএল রাহুল-হার্ডিক পান্ডিয়ার জুটিতে ১১ বল থাকতে জয় পেয়েছে ভারত। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছে ভারত।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে উদ্বোধনী বিচ্ছিন্ন হবার পর পর দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৯ রানে থামেন হেড।
এরপর মার্নাস লাবুশেনের সাথে ৫৬ রান যোগ করেন স্মিথ। জুটিতে ২৯ রান করে আউট হন লাবুশেন। উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ ১১ রানে বিদায়ের পর ক্যারির সাথে ৫৪ রানের জুটি গড়েন স্মিথ।
ওয়ানডেতে ৩৫তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে ৭৩ রানে আউট হন স্মিথ। ৯৬ বল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা হাকান তিনি।
দলীয় ১৯৮ রানে স্মিথ ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন ক্যারি। ওয়ানডেতে ১২তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে দলীয় ২৪৯ রানে থামেন তিনি। ৫৭ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬১ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
শেষ দিকে বেন ডোয়ার্শিসের ১৯ ও নাথান এলিসের ১০ রানের কণ্যাণে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের মোহাম্মদ সামি ৩টি, বরুণ চক্রবর্তী ও রবীন্দ্র জাদেজা ২টি করে উইকেট নেন।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৩ রানে দুই ওপেনার শুভমান গিল আর অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। তৃতীয় উইকেটে স্রেয়াশ আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ১১১ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। ৬২ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন স্রেয়াশ আইয়ার।
এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে ৫২ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি ৩০ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ২৭ রান করে ফেরেন।
পঞ্চম উইকেটে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৪৬ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে সেঞ্চুরি কাছাকাছি চলে যান বিরাট কোহলি। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন কোহলি।
দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে গিয়ে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৯৮ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৪ রানে ফেরেন কোহলি।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের জয় নিশ্চিতের ৬ রান আগেই বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ২৪ বলে এক চার আর তিন ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন।
৪৯তম ওভারে ম্যাক্সওয়েলের করা প্রথম বলে ছক্কা হাাঁকিয়ে ১১ বল আগেই দলের জয় নিশ্চিত করেন লোকেশ রাহুল। ভারতের ৪ উইকেটের জয়ে ৩৪ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠে গেল ভারত।
টুর্নামেন্টের অতীতের আট আসরে ভারত দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া আর ২০০২ সালে শ্রীলংকার সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তবে ২০০০ ও ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে হেরে যায় ভারত।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।