বৃহঃস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১

'চোকার্স' তকমা থেকে বের হতে পারবে প্রোটিয়ারা?

রাহুল রাজ | প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:২৩

'চোকার্স' তকমা থেকে বের হতে পারবে প্রোটিয়ারা?

প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালে। সেবার আয়োজক দেশ ছিল বাংলাদেশ। সে সময় বতর্মান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি। ঐ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যা ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের একমাত্র শিরোপা।


এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চার বার সেমিফাইনাল খেললেও একবারও দক্ষিণ আফ্রিকা অর্জন করতে পারেনি ফাইনালের টিকিট। এছাড়াও সবশেষ আসরে প্রোটিয়ারা বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে।


তবে চলতি মৌসুমে আবারও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন প্রোটিয়ারা। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে এইডেন মার্করামের দল। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেরশিক বৃষ্টি। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেও গ্রুপ 'বি' থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে পা রাখে প্রোটিয়ারা। যার কারণে আবারও আলোচনায় চোকার্স তকমা থেকে কি বের হতে পারবে প্রোটিয়ারা? নাকি সেই বৃত্তে ঘুরপাক খাবে তারা।

ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে আজ লাহোরে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের আসরটি দুর্দান্ত কাটাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে কিইউরা। শিরোপার অন্যতম দাবিদারও সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। যা তাদের একমাত্র বৈশ্বিক ট্রফি।


যার কারণে কিউইরা চাইবে এবারের আসরে তাদের শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে। তার আগে তাদের পেরোতে হবে প্রোটিয়া বাধা। দুদলের অতীতের পরিসংখ্যানও কথা বলছে কিউইদের পক্ষে। একদিনের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত মোট ৭৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। সেখানে কিউইদের ৪২ জয়ের বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ২৬টি ম্যাচ। বাকি ৫টি ম্যাচ অমীমাংসিত।

যদিও ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০২৩ বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ডকে ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে রোহিত-কোহলিদের কাছে হেরে শিরোপা ছোঁয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় মার্করাম-ডেভিড মিলারদের। শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জয়ের পর ২০০০ এবং ২০০২ সালে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে বাড়ি ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের কাছে সেমিতে হেরেছে তারা।

চলতি আসরের শুরুর আগে পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। করাচি এবং লাহোরের অনুষ্ঠিত হওয়া সেই টুর্নামেন্টটিতে সিরিজ না জিততে পারলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে যা দলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। সেই সিরিজ নিয়ে এই প্রোটিয়া ব্যাটার বলেন, 'আমার মনে হয়, এটি অবশ্যই এখানে থাকা খেলোয়াড়দের অনেক সাহায্য করেছে। আপনি এক জায়গা যত বেশি খেলবেন, সেটা তত বেশি সুবিধাজনক।' যদিও ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিউজিল্যান্ড। দুই দলের জন্যই কন্ডিশনটা চেনা।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top