রিয়ালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করলেই ফাইনালে চেলসি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ মে ২০২১, ১৮:১৮

রিয়ালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করলেই ফাইনালে চেলসি

কোচ কার্লো আনচেলোত্তি ও জিনেদিন জিদানই শুধু তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। এর বেশি ফাইনাল খেলা কোচদের তালিকাটাও দীর্ঘ নয়। মার্সেলো লিপ্পি, আনচেলোত্তি এবং স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন শুধু করতে পেরেছেন তা। জিদানের সামনে এখন সেই হাতছানি।

বুধবার (০৫ মে) রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে জিতলে কিংবা একের বেশি গোলের ড্র করে সেই দলে নাম লেখাতে পারেন তিনি। যদিও পথে অনেক কাঁটা!

টমাস টুখেলের চেলসির নিজেদের মাঠে বরং কাজটা সহজ। প্রথম লেগের অ্যাওয়ে গোলের (১-১) সুবাদে এই ম্যাচে রিয়ালকে গোলশূন্য আটকে দিতে পারলেই যে ফাইনালে যাবে তারা। টুখেলের জন্য সেটি হবে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর রিয়াল শেষ দুইবার বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো থেকেই। এবার সেই বাধা পেরিয়ে জিদানের দল ফাইনালের খুব কাছে, শিরোপারও। এই মৌসুমে লা লিগার শিরোপা লড়াইও জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তে। জিদানের দল আছে ত্রিমুখী সেই লড়াইয়ে। সামনের ম্যাচে বার্সেলোনা-অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের যেকোনো এক দল পয়েন্ট হারাতে বাধ্য। তাতে রিয়ালেরই সুবিধা। তার মানে লিগ নিয়ে ভাবনা থাকলেও আজকের চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে লা লিগার সম্ভাবনা বেঁচে থাকার স্বস্তি নিয়েই নামতে পারছে জিদানের দল। তবে ম্যাচ জিততে হলে গোল করতে হবে। মাদ্রিদে আগের ম্যাচটিতে করিম বেনজিমা দলকে হার থেকে বাঁচিয়েছেন। সর্বশেষ লিগ ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে ৭৬ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর রিয়াল জিতেছে এদের মিলিতাও ও কাসেমিরোর গোলে। আজ তাই ফরোয়ার্ড লাইনের জ্বলে ওঠার পালা।

টুখেলের চেলসির গোলপোস্ট আবার যথেষ্টই সুরক্ষিত। এবারের আসরে পোর্তোর বিপক্ষে একটি ম্যাচই শুধু হেরেছে তারা, এবং কোনো ম্যাচেই একাধিক গোল হজম করেনি। ১১ ম্যাচে ক্লিনশিটই ছিল সাতটি। আর রিয়ালের মাঠে বেনজিমার গোলটিই তাদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে হজম করা একমাত্র গোল। জিদানকে তাই প্রতিপক্ষের মাঠে আজ কঠিন লড়াইয়েই নামতে হচ্ছে। এমন ম্যাচে যাঁর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়, সেই সের্হিয়ো রামোস এরই মধ্যে দলে ফিরেছেন। রাফায়েল ভারান অবশ্য ছিটকে গেছেন।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top