ইমোজির ব্যবহার ও উৎপত্তি
নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১, ০৪:৫৭
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে আমরা ইমোজি ব্যবহার করে থাকি। ইমোজি সাধারণত ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারসহ বেশকিছু সোশ্যাল মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে।
১৯৯৯ সালে জাপানের একটি মোবাইল অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত শিগাকাট কুরিতা নামের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম তৈরি করেছিলেন ইমোজি। ওই সময় মোট ১৭৬টি ইমোজি তৈরি হয়েছিল, যা মোবাইল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস আই মোডের মুক্তির কথা ভাবা হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ইউনিকোড ইমোজি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গুগল, মাইক্রোসফট এবং টুইটার সেই পথ অনুসরণ করে।
প্রতি বছর নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম। তার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। অনুমোদনের জন্য আসা ইমোজিগুলোতে ভোট প্রক্রিয়া চলে। ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে নেটফ্লিক্স, অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল, টিন্ডারসহ আরও অনেক সংস্থার কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি ইউনিকোড ৬.০ ভার্সনের মোট ৯৯৪টি চরিত্রের ইমোজি তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে পরিবার, হৃদয়, প্রাণী, দেশ, পতাকা, জামা-কাপড়, ঘড়ি, খাবার এবং শহরের প্রতীক কার্যকর রয়েছে। গত বছর ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম থেকে মোট ১১০টি ইমোজি প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কান্নার সঙ্গে হাসিযুক্ত মুখ, ট্রান্সজেন্ডার ফ্ল্যাগ, বাবল টি ও সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর ইমোজি।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।