বৃহঃস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

২৮৬ দিন মহাকাশে আটকে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরেছেন সুনিতা, অত:পর যা হলো

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩৯

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে অপেক্ষার অবসান হল। সব শঙ্কা কেটে গিয়ে আশা জাগানিয়া নতুন ভোরের উদ্বোধন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ২৮৬ দিন পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসা। ফিরলেন মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও তার সঙ্গী বুচ উইলমোরসহ চার নভোচারী।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিট। দিনটি অবশ্য মনে থাকবে সবার। কারণ ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে ফ্লোরিডার সমুদ্রে অবতরণ করেছেন তারা।

নাসা বলছে, মহাকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সুনীতাদের এই প্রত্যাবর্তন নিরাপদে হয়েছে। তাদের সঙ্গে একই মহাকাশযানে ফিরেছেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভোচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করে ড্রাগন যান।

চারটি বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডার উপকূলে নামে ক্রু ড্রাগন। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য শেয়ার করেছেন।

ফ্লোরিডার উপকূলে নেমে আসার পর কিছু সময় সমুদ্রে ভাসছিল ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। প্রায় এক ঘণ্টা পর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এই নভোচারীদের ক্যাপসুল থেকে বের করে নিয়ে আসে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে যেন তারা খাপ খাইতে পারেন। সেজন্য এক ঘণ্টা সময় নিয়েছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ।

তবে পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনই স্বজনদের দেখা করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। কয়েক সপ্তাহ তাদের থাকতে হবে ক্রু কোয়ার্টারে। সেখানে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন মহাকাশে শূণ্য মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় নানা হেরফের ঘটে।

গত বছর জুনের ঘটনা। বিমান প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের তৈরি নভোযান স্টারলাইনার। এটাতে চেপেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতা ও বাচ। সেখানে গিয়ে আটকা পড়েন তারা। কারণ যে মহাকাশযানে তারা গিয়েছিলেন, সেটি হঠাৎ বিগড়ে গিয়েছিল।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top