সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে অপকৌশল নিয়েছেন নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:০৮

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইলে। গতকাল শনিবার জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। এদিন সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা হাতে একে একে জেরুজালেমের রাজপথে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। এ সময় ইসরাইলের জাতীয় পতাকা হাতে নেতানিয়াহুবিরোধী স্লোগান দেন তারা। খবর আরব নিউজের।

আলজাজিরা জানিয়েছে, শনিবার পঞ্চম সপ্তাহের মতো হাজার হাজার ইসরাইলি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। রাজধানী তেল আবিবে কমপক্ষে ৫০ হাজার লোক বিক্ষোভ অংশ নেয়। এ সময় তাদের হাতে ইসরাইলের পতাকা ও অন্যান্য ব্যানার ফেস্টুন ছিল। ইসরাইলের কমপক্ষে ২০টি শহরে এদিন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে অপকৌশল হাতে নিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।

এক বিক্ষোভকারী বলেন, এই আন্দোলনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রতিবাদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে। একজন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না। তিনি ইসরাইলের পুরো বিচার ব্যবস্থা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চান, যা গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি। আমরা প্রতি সপ্তাহেই তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাব।

তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের ডেমোক্রেসি থেকে অটো-ক্রেসিতে (একনায়কতন্ত্র) রূপান্তরের প্রতিবাদে আজ রাতে আমি রাস্তায় নেমেছি। এটি আমাদের জন্য অসম্মানের, এটি হতে দেওয়া যায় না।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কট্টরপন্থি নেতা নেতানিয়াহু। ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিচার ব্যবস্থার সংশোধন এবং সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করেন। নতুন ওই সংশোধনীতে, সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্টকে। নেতানিয়াহুর ওই উদ্যোগের শুরু থেকে বিরোধিতা করে আসছে সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, ওই সংশোধনী বিচার ব্যবস্থা দুর্বল করবে।

ইসরাইলের কট্টর ইহুদিবাদী সরকার আরও বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে ইহুদিদের বসতি সম্প্রসারণ করা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আরব বিশ্বে সমালোচনা ঝড় বইছে। এ ছাড়া ইসরাইল সরকার সামাজিক সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশটির এলজিবিটিকিউ (নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী) সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

 

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top