টাইটান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করল কানাডা
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৩, ০২:৪৪
টাইটান সাবমেরিন বিস্ফোরণের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কানাডা। শনিবার এ তথ্য জানান দেশটির কর্মকর্তারা। টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখার জন্য যাওয়া পাঁচজনকে নিয়ে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়েছিল। এরপর বহুজাতিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (টিএসবি) সভাপতি ক্যাথি ফক্স বলেছেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হল কী ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি কমাতে কী পরিবর্তন করতে হবে তা খুঁজে বের করা।’
তিনি নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস-এ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি সবাই উত্তর চায়, বিশেষ করে পরিবার এবং জনসাধারণ।’ সম্পূর্ণ তদন্তে ১৮ মাস থেকে দুই বছর সময় লাগতে পারে।
টিএসবি তদন্তকারীরা শনিবার কানাডিয়ান-পতাকাযুক্ত পোলার প্রাইস কার্গো জাহাজে উঠেছেন, যেটি উত্তর আটলান্টিকের দুর্ভাগ্যজনক টাইটান সাবমার্সিবলটি তার লঞ্চ পয়েন্টে নিয়ে আসার জন্য সেন্ট জন’স থেকে গত সপ্তাহান্তে যাত্রা করেছিল।
ইউএস কোস্ট গার্ড বৃহস্পতিবার বলেছে, সাবমার্সিবলটির ‘বিপর্যয়কর বিস্ফোরণের’ পরে এতে থাকা পাঁচজনের সবাই মারা গেছে। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১,৬০০ ফুট (৫০০ মিটার) দূরে সমুদ্রতলে সাবমার্সিবলটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) টাইটানের দুঃসাহসিক যাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় কোন ফৌজদারি আইন ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছিল।
নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডরের সুপারিনটেনডেন্ট কেন্ট ওসমন্ড বলেন, তদন্তকারীদের কাজ হল ‘আরসিএমপি দ্বারা সম্পূর্ণ তদন্তের প্রয়োজন আছে কি না’ তা নির্ধারণ করা। ‘এই ধরনের তদন্ত কেবল তখনই এগিয়ে যাবে যখন আমাদের পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে এমন ইঙ্গিত দেয় যে, ফৌজদারি ফেডারেল বা প্রাদেশিক আইন সম্ভবত ভঙ্গ করা হয়েছে।
গত রবিবার (১৮ জুন) ওশেনগেটের ডুবোযান চালকসহ পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে আটলান্টিকের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিল। গভীর সমুদ্রে অভিযান শুরু করার পৌনে ২ ঘণ্টার মধ্যেই ডুবোজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সহযোগী জাহাজ পোলার প্রিন্সের সঙ্গে।
তার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি টাইটানের সঙ্গে। চার দিন পর টাইটানিকের ধ্বংসস্থল থেকে ১৬০০ ফুট দূরে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ইউএস কোস্টগার্ড এবং সমুদ্র বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান, পানির চাপে দুমড়ে মুচড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায় টাইটান।
এই ঘটনা যখন সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে, ওশেনগেটের পর্যটন এবং ডুবোজাহাজের নিরাপত্তা নিয়ে যখন হাজারো প্রশ্ন উঠছে, ঠিক সেই সময় এই সমুদ্র পর্যটনের জন্য ওশেনগেটের পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে। যদিও এই বিজ্ঞপ্তির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।