ইমরানকে মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম, বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০৬

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রোববার ইসলামাবাদে নেমেছিলেন তার হাজার হাজার সমর্থক। দলটি ইমরান খানকে মুক্তি দিতে সরকারকে দুই সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরা, দ্য ডনসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। ইমরান খানের মুক্তিতে আল্টিমেটাম ও হুঁশিয়ারি দেন খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর প্রথম বড় কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পিটিআই নেতারা।

কেপির মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ইমরানের আইনজীবীরা জানিয়েছেন সব মামলার রায় ইমরানের পক্ষে রয়েছে। এখন তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, অন্যথায় তাকে মুক্তি দিতে আমরাই কারাগারে প্রবেশ করবো।” পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার বলেন, ‘কোনো বাধা আমাদের দমাতে পারবে না। আমরা ইমরান খানের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করব।’

মাসখানেক ধরেই পিটিআই রাজধানীতে জনসভার অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। রোববারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইসলামাবাদ প্রশাসন শিপিং সড়কে কনটেইনার এবং দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েনসহ শহরের মূল প্রবেশদ্বারগুলো অবরুদ্ধ করেছিল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে পিটিআই এর সমর্থক এবং কর্মীরা সেসব সরিয়ে সমাবেশে প্রবেশের রাস্তা তৈরি করছেন। তবে সমাবেশের শেষের দিকে পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।

পুলিশ জানায় নির্ধারিত সময়ের পরেও সমাবেশ শেষ করেনি পিটিআই। তাই দলটির নেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থল থেকে সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে বাধ্য হয়। তবে প্রশাসন ও পুলিশ সমাবেশে উপস্থিত কর্মী ও সমর্থকদের সরাতে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ জানায় পিটিআই।

এক বছর ধরে কারাগারে বন্দি ইমরান খান। গত জুলাই মাসের তার মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হলেও ইমরানকে তোশাখানা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। যদিও আগের দুটি তোশাখানা মামলায় তাঁর সাজা এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সাইফার মামলায়ও তিনি খালাস পেয়েছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top