গাজায় বোমাবর্ষণ চলছেই, নিহত আরও ৬০

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৯

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক নিন্দা, শান্তিচেষ্টা—সব কিছু উপেক্ষা করেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার ভোর থেকে চলতে থাকা তীব্র বোমাবর্ষণে আরও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষ নিখোঁজ। অবিরাম চলতে থাকা এই সহিংসতা ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রতিদিনই বয়ে আনছে নতুন বিপর্যয়।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং সোমবার ভোর থেকে নিরলস হামলায় কমপক্ষে আরও ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে ৪ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এর মধ্যে দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে হামলায় নিহত ৯ জন এবং খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে একটি তাঁবুতে বোমা হামলায় নিহত তিনজনও রয়েছেন।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৭৫২ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন ধাপে ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজার ৩৯১ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪৩৪ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধের ফলে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অঞ্চলটির প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল—কোনো কিছুকেই ছাড় দিচ্ছে না ইসরায়েলি আগ্রাসন। বিশ্ববাসীর চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই মানবিক বিপর্যয় ক্রমেই নতুন নতুন শোকের গল্প তৈরি করছে।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েল এখন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার সম্মুখীন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এসব পদক্ষেপের মাঝেও গাজায় রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top