শহিদুল আলমের নেতৃত্বে কনশানস নৌযান গাজা অভিমুখে

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

গাজার অবরোধ ভাঙতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে কনশানস নৌযানটি গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে। দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ফেসবুকে লিখেছেন, “ইসরায়েল যে পরিকল্পনাই করুক, এই মানবসমুদ্র থামাতে পারবে না। আমরা কনশানসের মানুষরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।”

শহিদুল আলম জানিয়েছেন, গাজার দিকে যাওয়া কনশানস নৌযানটি অন্য আটটি নৌযানের সাথে সংস্পর্শে এসেছে। কনশানসের গতি বেশি হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে নৌযানের গতি কমিয়ে সব নৌযান একসাথে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

কনশানস হলো ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (TMTG) নৌবহরের একটি অংশ। তবে এতে কোনো খাদ্যসামগ্রী নেই। FFC ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ।

শহিদুল আলম ফেসবুকে আরও লিখেছেন, “থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অবিস্মরণীয় ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তা এবং কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বের জনগণ নিজ উদ্যোগে পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাজারো জাহাজের ধারণাটি প্রতীকী, তবে এটি সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর।”

কনশানস হলো বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান। এটি সবার শেষে ইতালি থেকে রওনা দিয়েছিল। তবে গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা হওয়া আটটি নৌযানকে স্পর্শ করেছে। এখন সব নৌযান একযোগে এগোচ্ছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কনশানস নৌযানে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এই মিশন গত বুধবার শুরু হয়েছে।

শহিদুল আলম জানান, দুই বছর ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। একই সময়ে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০-এর বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে, অনেকে আটক ও কারাগারে রয়েছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top