রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

ডিসেম্বরে আসছে চীনের সিনোফার্মের টিকা

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৩ আগষ্ট ২০২০, ১৩:০২

অনলাইন ডেস্ক। এনএফ৭১

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোফার্ম তাদের কোভিড-১৯ টিকা বাজারে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এ টিকার দাম সম্ভাব্য অন্য করোনাভাইরাসের টিকার চেয়ে অনেক বেশি হবে। ফরচুন সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে গতকাল শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

সিনোফার্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিউ জিংহেন চীনা একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, সিনোফার্ম আশা করছে, তাদের প্রতি ডোজ টিকার দাম কয়েক শ ইউয়ান হবে। তবে দুই ডোজের টিকার দাম এক হাজার ইউয়ান (১৪৫ মার্কিন ডলার) বা ১২ হাজার ২৯৭ টাকার কম হবে। যদিও এ দাম খুব বেশি নয়, তবে বাজারের সম্ভাব্য অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী টিকাগুলোর চেয়ে অনেক বেশি দামি।

সিনোফার্মের টিকার দাম বেশি হলেও মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না বলেছে, তাদের প্রতি ডোজ টিকার দাম হতে পারে ৩২ থেকে ৩৭ ডলারের মধ্যে। আরেক মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন সম্প্রতি মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে, যাতে প্রতি ডোজ টিকার দাম ধরা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার।

গত জুলাই মাসে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার বলেছিল, তাদের সম্ভাব্য টিকাটির প্রতি ডোজের দাম হতে পারে ২০ ডলার করে। এছাড়া, ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মিলে যে টিকাটি তৈরি করছে, তার প্রতি ইনজেকশনের দাম হতে পারে ৩ মার্কিন ডলারের কম।

ফরচুনের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে টিকাটির একটি ডোজ দেওয়ার জন্য কাজ চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে সিনোফার্ম, মডার্না, ফাইজার ও অক্সফোর্ডের টিকাটির দুটি করে ডোজ দিতে হবে। দুটি ডোজের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজটি মূলত টিকাটির একটি বুস্টার শট। প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার চার সপ্তাহ পর বুস্টারটি দিতে হবে, যাতে টিকার কার্যকারিতা বাড়ে।

চীনা সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিউ জিংহেন সিনোফার্মের দাম নির্ধারণের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি। এ বিষয়ে ফরচুনকেও তাঁরা কোনো মন্তব্য দেননি। লিউ বলেছেন, চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে আসায় তাঁদের টিকাটি চীনে বিস্তৃত আকারে সরবরাহ করার প্রয়োজন পড়বে না। চীনের ১৪০ কোটি মানুষকে এ টিকার প্রয়োজন পড়বে না। টিকাটি কেবল শিক্ষার্থী ও জনবহুল শহরের অফিস কর্মীদের জন্য প্রয়োজন হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জন্য এটি প্রয়োজন নেই।

তবে লিউয়ের এই দৃষ্টিভঙ্গি অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মেলে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যখন কোনো টিকা নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হবে, তখন যত বেশিসংখ্যক মানুষকে দেওয়া যাবে, ততই ভালো।

নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য টিকা নিয়ে কাজ করা সংস্থা জিএভিআই বলছে, কোভিড-১৯ দূর করতে এবং হার্ড ইমিউনিটি (ব্যাপক জনগোষ্ঠীর প্রতিরোধ ক্ষমতা) অর্জন করতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top