নতুনভাবে সাজবে টিএসসি: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রকে (টিএসসি) নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে পাঁচ হাজার রোগী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলারও ঘোষণা দেন সরকার প্রধান।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এসবকথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন হলগুলো সংস্কার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে সংস্কার করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরগুলো, পাবলিক লাইব্রেরিকেও ডিজিটাল করে উন্নত করা হবে, যুক্ত হবে ডিজিটাল ব্যবস্থা।’ আগামী প্রজন্মের জন্য এগুলো সব করে যেতে চাই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশের যেকোনো সময়ে পাশে ছিলেন তিনি। পঁচাত্তরের পর আমরা যখন দিল্লিতে ছিলাম, তিনি ও তার পরিবার সব সময় আমাদের দেখাশোনা করেছেন। বিশেষ করে পদ্মা সেতু বিষয়ে যখন দুর্নীতির কথা উঠলো আমার বিরুদ্ধে এবং ওয়ান/ইলেভেনের সময় তিনি আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির কথা ওঠে তখন প্রণব মুখার্জি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ওয়ান/ইলেভেনে জেলখানায় যখন ছিলাম তখনো তিনি আমাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। যেকোনো বিপদে তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।’
এর আগে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভার কার্যক্রম সম্পর্কে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আপনার (শেখ হাসিনা) জন্মদিন। এটা আমরা খুব সীমিত আকারে পালন করবো। এটা প্রতিবছরই করে থাকি। আপনি না বললেও করবো।’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার জন্মদিন পালনের প্রস্তাব আমি গ্রহণ করছি না। বাকিগুলোর মধ্যে সাব-কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো। এটা করা উচিত। যাতে সাব-কমিটিগুলো বসতে পারে। আগামী দিনে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সেগুলো ঠিক করতে হবে। সাব-কমিটিগুলো এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।’
সাংগঠনিক বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয়া আছে। তাছাড়া আমরা সরকারে আছি। জনগণের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। যেভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিষয়ভিত্তিক সবাইকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনী ইশতেহারে জাতির কাছে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সে প্রতিশ্রুতি কতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বাকি আছে সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমরা সরকারে আছি সে কারণে আমরা দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। এবার এসে আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের সম্পাদকমণ্ডলীতে যারা আছেন তারা বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করবেন। যে আলোচনা আমাদের দেশ গড়ার কাজে লাগবে। আমরা বাংলাদেশকে অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই।’
এনএফ৭১/এনএম/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।