রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

হাটহাজারীতে আল্লামা শফীর মরদেহ, শোকে স্তব্ধ দারুল উলুম

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে সড়কপথে তাঁর মরদেহ চট্টগ্রামে নেয়ার পর হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় রাখা হয়েছে। বাদ জোহর সেখানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এসময় বরেণ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের মরদেহ পৌঁছনোর পর সেখানেই এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আল্লামা শফির মরদেহের কফিন ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকেই। শত শত মানুষের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে দেশের বৃহত্তম কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার

অসংখ্য আলেমের শিক্ষক, ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদকে শেষবারের মতো এক নজর দেখা এবং তাঁর জানাযায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাটহাজারীতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়া উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে তার অনুসারীরা হাটহাজারীতে সমাগম হচ্ছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাটহাজারীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে।

আল্লামা শফি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এছাড়া, তাঁর বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারিরিক সমস্যা ছিলো।

আল্লামা শফী ১৯৮৬ সাল থেকে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের (মুহতামিম) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

দেওবন্দের পাঠ্যসূচিতে পরিচালিত দেশের ঐতিহ্যবাহী এ কওমি মাদ্রাসার শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।

তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে আসা হেফাজতে ইসলামের আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এনএফ৭১/এমকে/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top