গাজীপুরে ব্রিতে দেশের প্রথম ধান জাদুঘর
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২২, ০৬:২৪
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) প্রথমবারের মতো ধান জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। জাদুঘরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষক, শিক্ষার্থীরা ধান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজাতির ধান দেখতে জাদুঘরে আসছেন।
২০১৮ সালে জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। উদ্বোধন হয় চলতি বছরের ১২ মার্চ। এটি বাংলাদেশের একমাত্র ও প্রথম ধান জাদুঘর। এখানে প্রাচীনকালে ধান চাষ থেকে শুরু করে আধুনিক সময় পর্যন্ত ধান রোপণ, মাড়াই ও কর্তনে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তার সবকিছুই প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও জাদুঘরে রয়েছে ব্রি উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর জন্য ১৫টি সেলফ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধান জাদুঘর স্থাপনের ফলে প্রতিবছর লাখ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক, স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষক ব্রি পরিদর্শন করতে পারবেন। তারা জাদুঘরে এসে ধানের ইতিহাস ঐতিহ্য, ব্রির গবেষণা ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তি, ব্রির অগ্রগতির ইতিহাস ও সার্বিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে ধারণা পাবেন।
ধান জাদুঘরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন জানান, ব্রি উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর জন্য মিউজিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ধানকে এদেশের জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক মানের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্রিতে একটি সুসজ্জিত রাইস মিউজিয়াম স্থাপন করা প্রয়োজন ছিল। দেশের ধান গবেষণার অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধানভিত্তিক আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতি এবং খাদ্য নিরাপত্তা তথা বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।
উল্লেখ্য, বিশ্বমানের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ব্রি দেশের ক্রমর্বধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অবদান রেখে চলেছে। বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধান, শীত প্রধান অঞ্চলের উপযোগী ধান, সরু ও সুগন্ধি প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ধান, জিংক সমৃদ্ধ ধান ও হাইব্রিড ধানসহ ৯৯টি ইনব্রিড ও ৭টি হাইব্রিড মিলিয়ে মোট ১০৬টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ব্রি।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: গাজীপুর ধান জাদুঘর শিক্ষার্থী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।