বরিশাল রুটে কমেছে লঞ্চের যাত্রী, ভোলা রুটে স্বাভাবিক
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২২, ০০:১৯
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়েছে পদ্মা সেতু। ওই অঞ্চলের মানুষকে এখন আর ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। বাসে কিংবা ব্যক্তিগত বাহনে চেপে নিমিষেই পড়া দিচ্ছেন পদ্মা। গন্তব্যেও পৌঁছে যাচ্ছেন আগের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম সময়ে।
আগে দক্ষিণের যেসব যাত্রী ফেরির দুর্ভোগ এড়াতে চাইতেন তারা লঞ্চে যাতায়াত করতেন। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সেই যাত্রীরাও আর লঞ্চে যাতায়াত করছেন না। আগে যারা নদীপথে যাতায়াত করতেন তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই এখন লঞ্চ যাত্রায় অনীহা দেখা দিয়েছে। যাত্রীরা সময় বাঁচাতে ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যবহার করছেন পদ্মা সেতু। আর যারা এখনও লঞ্চে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই অসুস্থ কিংবা পরিবার-পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন।
যাত্রী কমে যাওয়ায় সদরঘাট টার্মিনালে আগের মতো হাঁক-ডাক নেই। লঞ্চ মালিকরা বলছেন, সেতু উদ্বোধনের প্রভাবে লঞ্চের যাত্রী কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে যানজট কমাতে পারলে মানুষকে লঞ্চ ভ্রমণে আগ্রহী করা যাবে। তবে ভোলা রুটে যাত্রীর সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) সরেজমিনে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, ঘাটে আগের মতো যাত্রী নেই। লঞ্চ কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষ এখন সেতু দিয়ে কম সময়ে বাড়ি যেতে পারছে। তাহলে বেশি সময় নিয়ে কেন যাবে। কর্ণফুলী লঞ্চের কর্মকর্তা কাজল মিয়া বলেন, যাত্রী অনেক কমে গেছে। তবে ঈদকেন্দ্রিক যাত্রী বাড়বে বলে আশা করছি।
বিষয়: লঞ্চ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।