সরকারি রেকর্ডের রাস্তা আটকে দোকান, ৫০ বছর পর উচ্ছেদ !

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা সদর বাজারে একটি সরকারি ডিআরএস রেকর্ডের রাস্তা আটকে দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করছিলেন এক প্রভাশালী ব্যবসায়ী। প্রায় ৫০ বছর পর শনিবার বেলা ১১টা ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে সড়কটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন।

ফকিরহাট ভূমি অফিস ও বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ফকিরহাট বাজারের পাশে ভৈরব নদী ঘাটের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ছিল এটি। প্রায় ৫০ বছর ধরে ভৈরব নদী ঘাট থেকে বাজারে প্রবেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি অবৈধ স্থাপনা তৈরি করার কারণে বন্ধ ছিল। এতে নদীপথে আনা মালামাল ও জনগনের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বাজার পরিদর্শনে গেলে বিষয়টি তাঁর গোচরীভূত হয়। সে সময় তিনি দখলকৃত দোকান মালিককে দোকানের মালামাল সড়িয়ে নিতে নির্দেশ প্রদান করলে তিনি দোকানটি খালী করে দেন। এরপর শনিবার সকাল ১১ টায় ইউএনও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পাকা ঘরটি ভেঙে রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দেন।

বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, রাস্তাটি বন্ধ থাকায় তাদের বিকল্প পথে অনেক দুর হেটে মালপত্র নিয়ে বাজারে আসতে হতো। এখন নদী পথে পরিবহনকৃত মালামাল ও জনগনের চলাচলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে।

এ বিষয়ে দোকান ভোগদখল করা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান হারুন অর রশীদ বলেন, বাজারের সারকারি চান্দিনা (স্টল) নির্মানের সময় আমার ব্যক্তি মালিকানা জমির কিছু অংশ প্রশাসন নিয়ে নেয়। সে জমির বদলে তৎকালীন এসি-ল্যান্ডের মৌখিক অনুমতিতে আমি ঐ স্থানে ঘর তুলে ভোগদখল করেছিলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জনস্বার্থে বাজারে অবৈধ দখলে থাকা সকল রাস্তা, ফুটপাত, চান্দিনা, ড্রেন, খালে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত থাকবে। এসকল অভিযানে সঠিক তথ্য প্রদানে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২