পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনা থেকে | প্রকাশিত: ২৩ আগষ্ট ২০২২, ০৭:২৪
পূর্ব শত্রুতার জেরে ধরে পাবনার সুজানগর উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন। নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৬০) উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে। তিনি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ভবানীপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের সাথে একই এলাকার আশরাফ আলী গংদের সাথে স্থানীয় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এছাড়া গত তিন মাস আগে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সামনে জুয়া খেলছিল আশরাফ আলীর লোকজন। জাহাঙ্গীর আলম পুলিশকে ফোন করে কয়েকজনকে ধরিয়ে দিয়ে এ নিয়েও বিরোধ আরো প্রকট আকার ধারন করে।
এ সব বিরোধ নিয়ে সোমবার দুপুরে উভয় গ্রুপের লোকজন বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রঘাতে জাহাঙ্গীর আলমসহ ১১ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম কে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকার বলেন, ‘হামলাকারীরা চরমপন্থি দলের সদস্য। আমার পিতা অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থিরা ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজি নিয়েই এলাকার চরমপন্থি হিসেবে পরিচিত আশরাফ, জসিম মাস্টার, রাজা, সুমন, সোবহানসহ কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলছিল।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়: পাবনা পুলিশ কুপিয়ে হত্যা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।