উত্তরাঞ্চলে আবার শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:৫০
কয়েকদিন কিছুটা গরম পড়ার পর এখন আবার শীত বাড়ছে। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণত তীব্র শীত থাকে না। তবে এ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত কমবেশি শীত থাকবে। দিনে রোদ থাকবে। বিকেল থেকে শীত বাড়তে পারে। আগামী দু–একদিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। শৈত্যপ্রবাহটি উত্তরাঞ্চল থেকে যশোর-চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর পাশাপাশি মেঘ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে। ফলে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া একটি নিম্নচাপ বর্তমানে শ্রীলঙ্কা উপকূল অতিক্রম করে গেছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা কম। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় প্রচুর মেঘমালা তৈরি হচ্ছে, যা বাংলাদেশ ও ভারতের আকাশেও চলে আসতে পারে। মেঘ বাড়লে রোদ কমবে। তখন শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন : এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মঘটে অচল ব্রিটেন
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত দুই দিনে দেশের বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা ২ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা। রাজধানীর তাপমাত্রাও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। ফলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেছে। সঙ্গে ভোরে কুয়াশাও ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নীলফামারী, পাবনা, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে।
বিষয়: শীত তাপমাত্রা উত্তরাঞ্চল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়াবিদ তীব্র শীত newsflash71 Latest News Update News
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।