শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঘুরে আসি

খেজুর রসের দেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৫৭

গ্রাম বাংলায় শীতের অন্যতম আকর্ষন খেজুর রস

গরম কাপড় থাকলে শীতের মত মনোরম ঋতু আর নেই। বিভিন্ন লেখনিতে একথাই জানিয়ে গেছেন দেশের লেখক, কবি-সাহিত্যিক। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শীত আসে পৌষ-মাঘ মাসে। কনকনে ঠান্ডায় শীতের সকালে খেজুর রস খুবই মজা।

খেজুর রস-গুড়ের নানা কারবার উপভোগ করতে চাইলে, যেতে হবে বৃহত্তর যশোর-কুষ্টিয়া এলাকায়। এখানকার বেশিরভাগ বাড়ীতে চলে খেজুরের রস দিয়ে গুড় বানানোর আয়োজন। বাড়ীর পুরুষদের দায়িত্ব খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ। সাত সকালে কনকনে ঠান্ডায় রস নিয়ে এলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাড়ীর মহিলারাও।

খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় বানাতে সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘন্টা। যে পাত্রে খেজুর রস জ্বাল দেয়া হয়, তার নাম তাফাল। জ্বাল দেয়া ঘন রস থেকে গুড় তৈরি হয় এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। স্থানীয়রা একে বলেন বীজ মারা। জ্বাল দিয়ে রস ঘন হলে চুলা থেকে নামানো হয় তাফাল। এরপর তাফাল কাত করে গরম ঘন রস এক পাশে আনা হয়। আর তাফালে লেগে থাকা আঠালো রস ঘঁষা হয় খেজুরের কাঠি বা কাঠের কোন হাতল দিয়ে। কিছুক্ষণ ঘঁষলে তাফালের লেগে থাকা রস শুকিয়ে হলদে রঙের গুড়োর মত হয়। তা মেশানোো হয় ঘন রসের দ্রবনের মধ্যে।

দুপুরের আগেই শেষ হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। প্রতিদিন খেজুরের রস, দানা গুড়, পাটালি ও ঝোলা গুড়ের স্বাদ উপভোগ করেন স্থানীয়রা।

শুধু সকালে নয়, চাইলে দুপুরের পর বা পড়ন্ত বিকেলেও খাওয়া যায় খেজুরের রস। ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফ্রেবুয়ারি এবং মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্য চলে খেজুর রসের কারবার। এসময় খেজুর রস-গুড়ের উৎসব লেগে থাকে বেশিরভাগ বাড়ীতেই।

এনএফ৭১/জুআসা/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top