নাফ নদী সাঁতরিয়ে টেকনাফে এল মিয়ানমারের হাতি

মিয়ানমার থেকে এবার নাফ নদী সাঁতরিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর প্যারাবনে চলে আসে একটি বন্যহাতি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে হাতিটি নাফ নদীর জাদিমুরা প্যারাবনে অবস্থান নেয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অবস্থান করার পর পুনরায় নাফ নদী সাঁতরিয়ে মিয়ানমারে চলে যায়। এই হাতির বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর হতে পারে।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের টেকনাফের রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, সকালে নাফ নদী সাঁতরে একটি হাতি প্যারাবনের কাছাকাছি চলে আসতে দেখতে পেয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও বিজিবির সদস্যরা। তারপর বনবিভাগে খবর দিলে আমার নেত্বতে বনবিভাগের হাতি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা আধা ঘণ্টা চেষ্টা করলে হাতিটি আবার নাফ নদীর প্যারাবন থেকে সাঁতরে লাল দিয়ার দিকে চলে যায়।

হ্নীলার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে সাঁতরে আসা হাতিটি নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে প্যারাবনে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর আবার পুনরায় মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে।’

সকালে হঠাৎ করে কিছু লোক নাফ নদী দিয়ে একটি বিশাল আকারের হাতি সাঁতরিয়ে টেকনাফের দিকে আসতে দেখতে পায়। প্যারাবনের ভিতর হাতি অবস্থানের কথা ছড়িয়ে পড়লে একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। লোকজনের ভিড় দেখে হাতিটি দিক-বেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে কৌশল অবলম্বন করে বনবিভাগের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় একই পথ ধরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায়। অধিকাংশ সময় মিয়ানমার থেকে সাঁতরিয়ে এভাবে হাতি টেকনাফে চলে আসে।