আলোচিত মামলার রায়ের রাতেই সুবর্ণচরে আবারও দলবদ্ধ ধর্ষণ

RAJIUR RAHMAN | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৬:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরের সিঁধ কেটে এবার মা-মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা (২৯) মেয়েকে (১২) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। এসময় তাদের ঘর থেকে একজোড়া করে নাক-কানের দুল, নাক ফুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী তিন সন্তানের জননী ও নির্যাতিত শিশু স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তাকে কাজের জন্য প্রায় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে ঘরের সিঁধ কেটে তাকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে ৩ ধর্ষক। এর মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে ২ ধর্ষক ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে ১ ধর্ষক।

নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে দুজনকে নারী ও তার মেয়ে চিনতে পেরেছেন, তাদের একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। ধর্ষণের অভিযোগটি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ওই নারীকে কেউ ‘কথা শিখিয়ে দিয়েছে’ বলে মনে করেন তিনি।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, কিছু দিন আগে নির্যাতিত গৃহবধূ নতুন এই বাড়িতে উঠেন। ওই বাড়িতে সিঁধ কেটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।আলোচিত ওই ঘটনার মামলার রায়ে সোমবার ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার। আলোচিত মামলার রায়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একই উপজেলায় আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল।

 

 

 

 

 

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top