কালের স্বাক্ষী রেলের ওয়াটার স্টপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৪১

কিশোরগঞ্জ স্টেশনে ব্রিটিশ আমলের স্বাক্ষী ট্রেনের ওয়াটার স্টপ

দেখতে কিছুটা হাতির শুড়ের মত। রেল স্টেশনের এক প্রান্তে দাড়িয়ে আছে লোহার কাঠামো। কিশোরগঞ্জ গেলে সবার চোখে পড়বে এমন দৃশ্য। কী এটা? কেনইবা এখানে?

দু’টি রেল লাইনের মাঝে বিশাল লোহার বস্তুটি বসানোই প্রমান করে, এটা ট্রেনের সাথে সম্পর্কিত। তাহলে নিশ্চই ক্রেন! ক্রেনে তো কপিকল থাকে! কিন্তু এটি তো পাইপের মত!

ভৈরব বাজার রেলস্টেশনে গিয়েও দেখা যায় একই ধরণের কাঠামো। এখানেও বস্তুটি দুই লাইনের মাঝে। নিশ্চয়ই ট্রেনের কোন কোন অপরিহার্য বিষয়! কিন্তু কেন এখানে পড়ে আছে কেন?

কিশোরগঞ্জ স্টেশনে কাঠামোটির গায়ে সাল উল্লেখ আছে ১৯১৫। তার মানের ব্রিটিশ আমলের।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, এটিকে বলা হয় ওয়াটার স্টপ। ট্রেনের বাষ্পীয় ইঞ্জিনের চালিকা শক্তি ছিল পানি ও কয়লা। বয়লারে পানি ভরে তার নিচে কয়লায় আগুন দিয়ে চলতো ট্রেন। তাপে বয়লারের পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে শক্তি যোগাত ইঞ্জিনের। এটাই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের কৌশল।

ইঞ্জিনে পানি ভরার জন্যই ব্যবহার করা হত এমন যন্ত্র। যন্ত্রের গোড়ায় ভাল্ব ওয়ালা পাম্প থাকতো। যার মাধ্যমে চেপে পানি উপর থেকে ফেলা হত ইঞ্জিন ট্যাঙ্কে। এজন্য নিয়োজিত থাকত রেলের আলাদা জনবল।

বাষ্পীয় ইঞ্জিনে একবার পানি ভরলে চলতে পারত দেড়’শ কিলোমিটারের বেশি। ১৯২০ সালের দিকে ভৈরব বাজার থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত লাইনে চলতো এমনই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের ট্রেন। তাই ইঞ্জিন ট্যাঙ্কে পানি ভরার জন্য বসানো হয়েছিল হাতি শুঁড়ের মত এ ধরণের যন্ত্র।

এনএফ৭১/জুআসা/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top