সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া সেই শামীমাও মারা গেলেন
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৫
দেশে প্রথমবারের মত ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল যে দুজনের শরীরে, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় জনও মারা গেলেন ১৫ মাস পর।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৪ বছর বয়সী শামীমা আক্তারের মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।
দেশের প্রথম ক্যাডাভেরিক অঙ্গদাতা সারাহ ইসলামের দান করা দুটি কিডনির একটি শামীমার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।
বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, শামীমা শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন। কিছুদিন আগে তার ভাই আমাদের জানান, শামীমার ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে। পরে তিন সপ্তাহ আগে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কোনো উপায় না দেখে চার দিন আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরমধ্যে তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আমরা তার ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম, কিন্তু উন্নতি হয়নি। সবশেষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে দ্বিতীয় ক্যাডাভেরিকের মাধ্যমে যে দুজনের শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ বছর ধরে কিডনি সমস্যায় ভোগা এক ব্যক্তিকে এ বছরের ২৫ জানুয়ারি দেশের দ্বিতীয়বারের মতো ব্রেন ডেথ রোগীর দেয়া কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। রাজধানীর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ওই প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু ১০ দিন না যেতেই ৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান ৪৪ বছর বয়সী ওই রোগী।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।