নরসুন্দা লেক যেনো মাদক সেবনের আখড়া!

রাশেদ রাসেল | প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মরণাপন্ন নরসুন্দা নদীর পাড় ঘেষা লেকপাড়টি দিন দিন বেহায়াপনা আর অশ্লীলতা আর মাদক সেবনের আখড়া হয়ে উঠেছে।

শহরের প্রবীণ মানুষেরা নিয়মিত লেকপাড় দিয়ে মর্নিং ওয়ার্কে বের হন। বতর্মানে তারা লেকপাড় দিয়ে চলাফেরা করতে ইতস্থতাবোধ করেন। শহরের অধিকাংশ মানুষেই কিছুটা এড়িয়ে চলেন লেকপাড়টি।

দিন দিন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পাশের লেকপাড় এলাকাটি মাদকসেবীদের আখড়া, সন্ধার পর তরুণ-তরুণীদের অবাধে মেলামেশা এবং ছিনতাইয়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, সন্ধার পর এমনকি দিনের বেলায়ও মাদকসেবীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মুক্তমঞ্চ এবং ওয়াচ টাওয়ারের আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় বসে মাদক গ্রহণ করছেন। কোনো মেয়েকে পেলেই তারা অশ্লীলভাবে টিজিং করছে।

মাদকসেবী ছাড়াও অনেকে কথিত মেয়ে বান্ধবী নিয়ে এসে দিনে ও রাতের আঁধারে বসে অশ্লীলতায় মেতে উঠছে। মাদকসেবীদের গ্রুপ গুলোই আবার লেকপাড় এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলেই ছুরি, চাপাতি নিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করছে। যারা স্বেচ্ছায় দিতে না চায় তাদের ওপর হামলা এবং মারধর করে বলে জানা যায়।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে অনেকেই এরকমভাবে সর্বস্ব খুইয়েছেন বলেও জানা যায়।

উকিল পাড়া এলাকার আরমান চৌধুরী বলেন, লেকপাড়ে বোনকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম কয়েকদিন আগে। মাদকসেবীদের একটি গ্রুপ আমার বোনকে দেখে বাজে মন্তব্য করে। এতে প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারতে আসে তারা। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন থেকে মুক্তমঞ্চ এবং ওয়াচ টাওয়ার দেখতে আসা মো. মিজান বলেন, গ্রাম থেকে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু ওয়াচ টাওয়ারের সামনের ব্রিজে আমাকে এবং আমার ছোট ভাইকে মারধর করে আমার মোবাইল ফোন এবং টাকা নিয়ে গেছে।

নীলগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা ইমরান হোসেন বলেন, রমজান মাসে দুপুরে ঘুরতে আসলে ওয়াচ টাওয়ারের সামনের ব্রিজে আমার মোবাইল আর টাকা রেখে দেয় কয়েকজন ছেলে। বাধা দিলে আমাকে অস্ত্র দেখিয়ে মারধর করে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top