‘আপনি তারে বুকে জড়াই ধরলেন রে ভাই’, ফরহাদ মজহারের আক্ষেপ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৬
অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আলিঙ্গনের ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কবি, দার্শনিক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, এটা (জড়িয়ে ধরা) বাংলাদেশের জনগণকে ‘অপমান করা’।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বাস্তবতা ও সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘আপনি (ইউনূস) তারে (জো বাইডেন) বুকে জড়াই ধরলেন রে ভাই। এক ‘খুনি’কে। সারা দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ ‘খুনি’, তাকে আপনি বুকে জড়াই ধরছেন। তাহলে এই যে একটা লোককে মনেপ্রাণে চেয়েছি, সেই লোকটা গিয়ে জড়াই ধরল একটা লোককে, যেই লোকটা কিন্তু ‘খুনি’, যার আপাদমস্তক প্যালেস্টাইনের বাচ্চাদের খুনে রঞ্জিত।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ওনাকে (বাইডেন) আমেরিকাতে বলা হয়, ‘জেনোসাইড জো’। আপনারা জানেন এগুলো কেউ? উনি (বাইডেন) গণহত্যাকারী। একটা লোক যার কাছে প্যালেস্টাইনের জনগণের রক্ত লেগে আছে। আপনি যদি ডিপ্লোমেসি করতে যাইতেন, আপনি হাত মিলাইতে পারতেন অসুবিধা নাই, আমরা দুর্বল দেশ।
তিনি বলেন, বাইডেন সাহেব কিন্তু শূন্য, জিরো, ওনার কোনো মূল্য নাই। আসল লোক কমলা হ্যারিস। উনি (বাইডেন) ইলেকশনও করতে পারেন নাই কিন্তু। উনি প্রায় কথাও বলতে পারেন না।
ইউনূস ও বাইডেনের আলিঙ্গন নিয়ে তিনি বলেন, বাইডেন সাহেব কিন্তু শূন্য, জিরো, উনার কোনো মূল্য নাই। আসল লোক কমলা হ্যারিস। উনি (বাইডেন) ইলেকশনও করতে পারেন নাই কিন্তু। উনি প্রায় কথাও বলতে পারেন না।
রাষ্ট্রের জিও-স্ট্র্যাটেজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে বন্দর বিষয়ক নীতি নির্ধারণ এবং সত্যিকারের বিনিয়োগকারীদের ক্ষমতাবান করে বন্দরের আধুনিকায়নের আহ্বানও জানান ফরহাদ মজহার।
বঙ্গোপসাগর আগামী দিনে ‘যুদ্ধের’ প্রধান ক্ষেত্র হবে মন্তব্য করে মজহার বলেন, আজকে ইকোনমির থিয়েটার যেটা, সেটা সরে যাচ্ছে গ্লোবালি। সেটা সরে যাচ্ছে এশিয়াতে এবং এশিয়ার পরে সেটা চলে আসছে বঙ্গোপসাগরে। ফলে বঙ্গোপসাগরের পানিতে কার নিয়ন্ত্রণ, তার ব্লু ওয়াটার ইকোনমির উপর কার নিয়ন্ত্রণ এই পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর জড়িত।
চট্টগ্রামের জনগণের ‘ঘুম থেকে জেগে ওঠা’ প্রয়োজন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এটা তাদের বন্দর এবং তাদেরকে এই বন্দর রক্ষা করার জন্য যত রকম গবেষণা দরকার, যত বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা দরকার এবং প্র্যাকটিক্যালি যারা অভিজ্ঞ তাদেরকে নিয়ে অবিলম্বে এই বন্দর রক্ষা কমিটি বা যেটা বলি না কেন, আমাদের একটা শ্বেতপত্র দরকার।
এটা করতে পারলে ভারতের আসাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাও ‘চট্টগ্রামবাসীর হবে’ মন্তব্য করে ফরহাদ মহজার বলেন, “এই হওয়া মানে যে, আরেকটা দেশ দখল করা, তা না। একটা ইকোনমিক হাব গড়ে উঠবে। যে ইকোনমিক হাবটা আমাদের উন্নয়নের জন্য সাংঘাতিক রকম গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে উদ্দেশ করে ফরহাদ মজহার বলেন, সরকার প্রধানের উচিত ছিল নিজের এলাকা চট্টগ্রামে এসে সাধারণ মানুষসহ সবার সাথে কথা বলা।
আয়োজক ইংরেজি দৈনিক দ্যা পিপলস ভিউয়ের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তারেক হাসান, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন, ‘বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরাম’ এর আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।