স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব আহমেদের আগমনে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ, হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
মিঠু মুরাদ | প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা–পাটগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছেন প্রবাসী তরুণ উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শিহাব আহমেদ।
সম্প্রতি তিনি তুরস্কের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে হাতীবান্ধা–পাটগ্রামজুড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিহাব আহমেদের আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে দুই উপজেলায় আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে আনন্দঘন মোটরসাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এতে দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৮৯টি ওয়ার্ড থেকে শত শত তরুণসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। হাতীবান্ধার মানুষ স্থানীয় ঘুন্টি বাজারে এবং পাটগ্রামের মানুষ বড়খাতা দোয়ানী মোড়ে জড়ো হয়ে স্বাগত জানাবেন শিহাব আহমেদকে।
২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্কে পাড়ি জমান শিহাব আহমেদ। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গড়ে তোলেন অটোম্যান গ্রুপসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফ্রিকার চাঁদ ও বাংলাদেশে রয়েছে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম।
গত ৮ বছরে তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাতীবান্ধা–পাটগ্রামবাসীর কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
-
২৫ হাজার পরিবারে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ (গভীর নলকূপ স্থাপন)
-
১ হাজারেরও বেশি মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ওযুখানা নির্মাণ
-
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার প্রদান
-
মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
-
শিশু বিকাশ একাডেমি ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা
-
প্রায় ২০০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি
নির্বাচনী অঙ্গীকার
শিহাব আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচিত হলে তিনি-
-
২০৩০ সালের মধ্যে ৫ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবেন
-
অন্তত ২ হাজার তরুণকে বিদেশে চাকরির সুযোগ করে দেবেন
-
হাতীবান্ধা–পাটগ্রামকে বেকারত্বমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন
তার ভাষায়,
“আমি চাইলে পরিবার নিয়ে বিদেশে স্থায়ী হতে পারতাম। কিন্তু দেশের মাটি ও মানুষের টানে ফিরেছি। প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, আমি এসেছি মানুষের সেবা করতে।”
তিনি আরও বলেন,
“এই র্যালির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে ঐক্য, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার পৌঁছে দেওয়া হবে। এবারের নির্বাচনে জয়ী হলে হাতীবান্ধা–পাটগ্রামের প্রতিটি ঘরে কর্মসংস্থানের আলো জ্বলবে ইনশাআল্লাহ।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।