শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ | প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৯

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার ঘটনায় মেডিকেল পরীক্ষায় কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে তিন সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বোর্ডের নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা জানান, ধর্ষণ শনাক্তের ১০টি সূচকের সবগুলোই স্বাভাবিক পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আরও স্বাক্ষর করেছেন চিকিৎসক ডা. মীর মোশারফ হোসেন ও ডা. নাহিদা আক্তার। খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহমেদ নিশ্চিত করেছেন, প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। পরদিন পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীল (১৯) কে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে সেনা রিজিয়ন কমান্ডাররা অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ পাহাড় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, “ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে ইউপিডিএফ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, যা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।”

গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা জানান, পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পেছনে ইউপিডিএফ দায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঘটনার পর জুম্ম ছাত্র-জনতা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ ডাকে। তবে দুর্গাপূজা ও প্রশাসনের আশ্বাসে তা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে চলমান সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয়রা। সহিংসতায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিস, দোকানপাট, বসতঘর, গুদাম ও মোটরসাইকেল। বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top