মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

'মার্চ টু সচিবালয়' অংশ নিতে হাজার হাজার শিক্ষক একত্রিত হচ্ছে

ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪০

সংগৃহীত

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ একাধিক দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা (মার্চ টু সচিবালয়) কর্মসূচি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষকদের বিশাল জমায়েত দেখা গেছে।

‎জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব শিক্ষক আবুল বাশার ঢাকা পোস্টকে জানান, “আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা সচিবালয়ের উদ্দেশে কিছুক্ষণের মধ্যে পদযাত্রা শুরু করবো।” তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আজ আবার যদি হামলা হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।”

‎আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।

‎এর আগে সোমবার সকাল থেকেই বেসরকারি এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে সারাদেশের স্কুল ও কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

‎শিক্ষকরা বলছেন, সরকার যে হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে, তা ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা দাবি করছেন, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, বাস্তব সম্মত চিকিৎসা ভাতা এবং সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

‎উল্লেখ্য, গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সাথে শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেয় এবং লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। রোববার ও সোমবার রাতভর তারা খোলা আকাশের নিচে শহীদ মিনারে অবস্থান করেন।

‎এদিকে সারাদেশের শিক্ষকরাও কর্মবিরতি পালন করছেন। বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও তারা শ্রেণিকক্ষে যাচ্ছেন না। অনেকে স্কুলের মাঠ, অফিস কক্ষ বা লাউঞ্জে বসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন।

‎শিক্ষকদের দাবি আদায়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়,সেদিকে এখন গোটা শিক্ষা মহল ও জাতির দৃষ্টি।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top