সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১২

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা ও দক্ষিণাঞ্চলের নদী-নালাগুলোতে হত্যার পর মরদেহ ফেলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। নৌপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ মাসে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুরের নদী থেকে ৭৫টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি অজ্ঞাত পরিচয়ের।

নৌপুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে অক্টোবর পর্যন্ত নদী থেকে আরও ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু খুলনায় মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত অন্তত ৩ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে, ১৭ অক্টোবর দাকোপের বাজুয়ার চুনকুড়ি নদী থেকে আশিষ সরকারের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে পাইকগাছা উপজেলার সোনাদানা ইউনিয়নের শিবসা নদীর চর থেকে ইকরাম হোসেন নামের এক যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর আগের দিন, ১৬ অক্টোবর পাইকগাছার জিরবুনিয়া খাল থেকে অজ্ঞাত বয়সের (৪০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, “প্রায় প্রতিদিন নদী ও খালে মানুষের মরদেহ ভেসে উঠছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। র‌্যাব ও পুলিশের নজরদারি যথাযথভাবে কাজ করছে না।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা খারাপ হওয়ার সুযোগে বিভিন্ন সন্ত্রাসী এলাকায় ফিরে এসে এই ধরনের অপরাধ চালাচ্ছে। দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু হলে অপরাধীরা ভয়ে থামবে। মরদেহের অধিকাংশই অজ্ঞাত পরিচয়ের। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনাক্তকরণ করলে অপরাধীদের ধরতে সুবিধা হবে।”

খুলনা নৌপুলিশ সুপার ড. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, “নদীতে পাওয়া মরদেহ তিন ধরনের—দুর্ঘটনাজনিত, আত্মহত্যা ও হত্যাজনিত। হত্যাজনিত মৃতদেহের মধ্যে নবজাতক ও বয়স্ক দুই ভাগ রয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত চলছে, সর্বাধিক হত্যাজনিত মৃতদেহই উদ্ধার হয়।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top