মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

'প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলেন জুবায়েদ'

ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:০৬

সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনকে প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিকা বার্জিস শাবনাম বর্ষা ও তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

‎মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

‎পুলিশ জানায়, বর্ষার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরে। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। জুবায়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কারণে মাহির রহমানের সঙ্গে ব্রেকআপ করেন বর্ষা। তবে মাহিরকে ভুলতে পারছিলেন না তিনি। এই জটিল সম্পর্ক থেকে জন্ম নেয় প্রতিহিংসা।

‎প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, বর্ষা ও মাহির ২৩ দিন ধরে জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে। শুরুতে তাকে ভয়ভীতি দেখানোর কথা থাকলেও বর্ষার চাপে মাহির খুনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ঘটনার দিন নিজেই ছুরি দিয়ে জুবায়েদের গলায় আঘাত করে।

‎সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের সময় বর্ষা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুর আগে জুবায়েদ তার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তিনি কোনো সহানুভূতি দেখাননি।

‎জানা গেছে, জুবায়েদ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

‎ঘটনাটি ঘটে গত রোববার বিকেলে, যখন বর্ষার বাসায় টিউশনে যাওয়ার পথে মাহিরের সঙ্গে জুবায়েদের দেখা হয়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে মাহির, এবং ঘটনাস্থলেই জুবায়েদ মারা যান।

‎এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top