পাটগ্রামে সরকারি সড়ক উদ্ধারে সাক্ষী দেওয়ায় হামলা, মারপিট, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
মিঠু মুরাদ | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫২

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নে সরকারি সড়ক উদ্ধারে সাক্ষী দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষ পাটগ্রাম থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনগর গ্রামের বাউরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়দের চলাচলের জন্য প্রায় ২২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সরকারি একটি সড়ক রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই সড়কটির মাঝখানে স্থানীয় ছাইমা খাতুনের পরিবার দখল করে ঘর তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আমান উল্লাহ গত ৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ অক্টোবর উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার সাইদুল ইসলাম সড়কটি সরেজমিনে মাপজোখে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল হোসেন সাক্ষ্য দেন যে রাস্তাটি দখল করা হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন (২০ অক্টোবর) সকালে ছাইমা খাতুনের লোকজন আবুল হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হামলা ও মারপিট করে বলে অভিযোগ ওঠে।
হামলার ঘটনায় আবুল হোসেন পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অপরদিকে একইদিন ছাইমা খাতুনের ছেলে রাকিবুল হাসান মাসুদও আহত অবস্থায় পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন এবং তিনিও আবুল হোসেনদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন।
আবুল হোসেন বলেন, “সরকারি রাস্তা উদ্ধারে সাক্ষী দেওয়ায় ছাইমা খাতুন লোকজন নিয়ে আমার বাড়ি ও অফিসে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং টাকা লুট করে নিয়ে যায়।”
অন্যদিকে রাকিবুল হাসান মাসুদ বলেন, “আবুল হোসেন সরকারি সার্ভেয়ার নিয়ে এসে জমি মাপে। আমরা জানতে গেলে তারা হাতুরি ও শাবল নিয়ে হামলা করে, আমাকে কামড় দেয়। আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি।”
উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার সাইদুল ইসলাম জানান, “নকশা অনুযায়ী সরকারি রাস্তাটিতে ঘর তোলা হয়েছে। বিআরএস রেকর্ডে রাস্তা হিসেবে দেখানো হলেও পরবর্তীতে খতিয়ান বইয়ে ভুলভাবে রেকর্ড হয়েছে। আমি প্রতিবেদন পাঠাবো।”
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।