পাটগ্রামে ‘শিহাব আহমেদ শিক্ষাবৃত্তি’ পেল ১৮ শিক্ষার্থী
মিঠু মুরাদ | প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ২২:৩৫
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ১৮ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘শিহাব আহমেদ শিক্ষাবৃত্তি–২০২৫’।
তুরস্ক প্রবাসী সমাজসেবক শিহাব আহমেদ নিজ উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী, অসহায় এবং সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাটগ্রাম মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাবৃত্তির চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিহাব গ্রুপ অব কোম্পানির পরিচালক নুর নবী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক প্রবাসী আন্তর্জাতিক তরুণ উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও শিহাব আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, পাশাপাশি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব আহমেদ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— হাফেজ রফিকুল ইসলাম, নর্থবেঙ্গল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রভাষক আতিক হোসেন, শিক্ষার্থী বিজয় আলম ও পপি রানী, এবং শিহাব মার্টের প্রতিনিধি আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “ব্যক্তি শিহাব আহমেদ জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। তিনি একসময় সবজি বিক্রি, রিকশা চালানোসহ নানা কষ্টের কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। তুরস্কে গিয়ে শ্রম ও মেধার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা।”
নিজ বক্তব্যে শিহাব আহমেদ বলেন,
“অনেকে মনে করেন আমি একদিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি— কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন। ১০ বছর বয়স থেকে জীবনের যুদ্ধ শুরু। সবজি বিক্রি, ভ্যান চালানো, রিকশা চালানো, গার্মেন্টে কাজ— সব করেছি পড়াশোনার খরচ জোগাতে। আমি থামিনি। আজ আমার পরিশ্রমের ফলেই এই অবস্থানে।”
তিনি আরও বলেন,
“তুরস্কের পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে আমি আমার এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আমার স্বপ্ন, এই প্রজন্মকে গড়ে তোলা— যারা আগামীর হাতীবান্ধা-পাটগ্রামকে নেতৃত্ব দেবে। তাই আমার কষ্টের, মেহনতের টাকায় এই শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছি।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
“আজ আমি আপনাদের যে শিক্ষাবৃত্তি দিলাম, তার শর্ত একটাই— আপনি একদিন প্রতিষ্ঠিত হলে আপনার এলাকার আরেকজন গরীব শিক্ষার্থীর হাত ধরবেন।”
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মমেনা খাতুন বলেন,
“আমার মেয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। শিহাব আহমেদ স্যারের শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ায় এখন ওর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সহজ হলো। উনি আমাদের পাশে আছেন, এতে আমরা গর্বিত।”
অন্যদিকে, লালমনিরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বিজয় আলম বলেন,
“গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ। আমরা যারা অসচ্ছল পরিবার থেকে এসেছি, তাদের জন্য এই শিক্ষাবৃত্তি অনেক সহায়ক হবে।”
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।