চিরকুট লিখে সেচপাম্পের মিটার চুরি
হিলি থেকে | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২১, ০৫:২৭
অভিনব কায়দায় চিরকুট লিখে দিনাজপুরের হিলিতে হিড়িক পড়েছে মিটার চুরি। বিকাশে টাকা পাঠালে ফিরে পাচ্ছে গ্রাহকেরা মিটার। থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না এমনটিই বলছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
রবিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন হিলি সাব-জোনাল অফিসের কয়েকটি এলাকায় সেচ প্রকল্প ডিপ টিউবওয়েল গ্রাহকদের ৩ফেজ মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে।
রাতের শুরুতে মিটার খুলে নিয়ে যাচ্ছে চোররা। স্পটে থাকছে চিরকুট। তাতে লিখা থাকে বিকাশ ফোন নম্বর ও টাকার অংক। তারপর সেই নম্বরে কল দিলে জানানো হয়- নির্দিষ্ট টাকা বিকাশে পাঠালে মিটার দেয়া হবে। না হলে পুনরায় মিটার চুরি করা হবে।
হিলির রাউতারা গ্রামের ভুক্তভোগী মাসুদ রানা জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে মাঠে আমাদের ডিপের মাটার চুরি হয়ে যায়। সেখানে একটা চিরকুট লিখা ছিলো, তাতে লিখা আছে নম্বর ও দুই হাজার টাকা অংক। ফোন করলে বলে, টাকা বিকাশ করলে মিটার ফিরে দেওয়া হবে। না হলে আবার মিটার চুরি হবে। দুই হাজার বিকাশ করেছিলাম। পরের দিন ডিপের পাশেই মাটির নিচে মিটারটি পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, আমাদের রাউতারা ও সাতনি এলাকায় একই সময় পাঁচটি ডিপের মিটার চুরি হয়েছিলো।
হিলির মহেশ পুর গ্রামের ইউনুছ আলীসহ কয়েক জন গ্রাহক জানান, আমাদের সেচ প্রকল্পের আওতায় ডিপ টিউবওয়েলের ৩ ফেজ মিটার চুরি হয়ে গিয়েছিলো। প্রতিটি মিটার বোর্ডে টাকার অংক ও বিকাশ নম্বর ছিলো। প্রত্যেকেয় টাকা বিকাশ করছিলাম। তার পর মিটার পেয়েছি। এবিষয়ে আমরা হাকিমপুর (হিলি) থানায় অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি।
হিলি সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) সাইদুর রহমানের জানান, হিলির বেশ কয়েকটি এলাকায় মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। আমরা ঘটনার পরেই মিটার গুলো লাগানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
হাকিমপুর (হিলি) থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গত দুই আড়াই মাস আগে হিলিতে কয়েকটি মিটার চুরি হয়েছে। কয়েক জন থানায় অভিযোগ করে ছিলো। আমরা চোরদের সনাক্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। মাঝখানে মিটার চুরি প্রায় বন্ধ ছিলো। ক'দিন থেকে আবারও মিটার চুরির কথা শোনা যাচ্ছে। অভিযোগ পেলে এই মিটার চুরির চক্রদের আটক করবো।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।