চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ট্রাক চাপায় বাবা-ছেলে নিহত

চুয়াডাঙ্গা-যশোর মহা সড়কের দর্শনায় ট্রাক চাপায় আলমসাধু আরোহী বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৯টার দিকে দর্শনা লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন।

নিহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আশানুর রহমান ও তার ছেলে আজম। আহত হয়েছেন করিমন যাত্রী ডুগডুগি গ্রামের জামাত আলীর ছেলে জীবন আলী, ট্রাক চালক ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়ি গ্রামের ইয়াসিন আলী ও ট্রাক শ্রমিক একই উপজেলার ঝিষ্টিপোতা গ্রামের নওশের আলম ছেলে মনিরুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী এলাকা থেকে সিমেন্ট ভর্তি করে আলমসাধুযোগে দর্শনার দিকে যাচ্ছিলো ব আশানুর ও তার ছেলে আজম। চুয়াডাঙ্গা - যশোর সড়কের দর্শনা লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের কাছে পৌঁছালে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক আলমসাধুটিকে ধ্বাক্কা দেয়। এতে আলমসাধু আরোহী ও তার ছেলে আজম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে নিলে আশানুর ও আজময়ের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনাটি শোনার পর পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন।এসম নিহতের পরিবারের বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের শান্তনা দেওয়া সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তাত্ক্ষণিকভাবে নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। আগামীতে পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ের সুযোগ সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দেয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, সিমেন্ট ভর্তি আলমসাধুটি সঠিক পথেই ছিল। হঠাৎ উল্টোদিক থেকে আসা ট্রাকটি ভুল পথ ব্যবহার করে আলমসাধুটিকে ধাক্কা দেয়। এতেই দুজনের মৃত্যু হয়। সেখানে থাকা একটি পুলিশ বক্সও ভেঙে চুরমার করেছে ট্রাকটি। ট্রাকটি পুলিশি হেফাজতে নিলেও চালক এবং হেলপারকে পালিয়ে গেছে।
ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চালনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন ওসি।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১