শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে বাঁধ কেটে খাল উন্মুক্ত, দূর হল ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা

গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০২:১৪

গোপালগঞ্জে বাঁধ কেটে খাল উন্মুক্ত, দূর হল ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা

গোপালগঞ্জে বাঁধ কেটে দিয়ে উন্মুক্ত করা হয়েছে কংশুর খাল। এতে সদর উপজেলার বনগ্রাম ও বলাকইড় বিলের ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা দুর হল।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মনোয়ার হোসেন উপস্থিত থেকে কংশুর খালের বাঁধ কেটে দেন। এতে বনগ্রাম ও বলাকইড় বিলের ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা দুর হবার পাশাপাশি দুই হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসলো। এতে উপকৃত হল লক্ষাধিক মানুষ।

করপাড়া ইউনিয়নে পরিষদের সদস্য রাশেদ আল-মামুন, গোলাপ ফকির, ইয়াসির আরাফাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ইজারার মাধ্যমে খালটির মুখে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করা হচ্ছিলো। এতে এই খালের দুই পাশের অন্ততঃ দুই হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই খালটি উন্মুক্ত করায় মানুষ উপকৃত হল। নানাবিধ কাজে এই খালের পানি ব্যবহার করতে পারবে তারা।

স্থানীয় করপাড়া ইউনিয়েন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সাফু, বলেন, খালটির মুখে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে খালটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এ কারণে খালটির পানি ব্যবহারে অযোগ্য ছিল। এখন বাঁধটি কেটে দিয়ে পানি প্রবাহ করায় খালের দুই পাড়ের মানুষ পানি ব্যবহার করতে পারবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুর রহমান বলেন, খালটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেয়া হয়। এতে বনগ্রাম, বলাকইড়, কংশুর, দূর্গাপুর, কাঠি ও কাজুলিয়া বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এবং উপজেলা জলমহাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কংশুর খালটির ইজারা বাতিল করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই খালের বাঁধসমুহ কেটে বনগ্রাম ও বলাকইড় বিলের সাথে এবং মধুমতি এমবিআর চ্যানেলের সাথে সংযোগ করা হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষ আগের মতো জোয়ার-ভাটার পানি ব্যবহার করতে পারবেন। চাষাবাদেও এ খালের পানি ব্যবহার করতে পারবেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top