তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে পাবনার জনজীবন

পাবনা থেকে | প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ২১:৪৮

তীব্র তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে পাবনার জনজীবন,নলকূপে উঠছে না পানি

কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলে বইছে তীব্র তাপদাহ। গরমের তীব্রতাও বেড়েছে কয়েকগুণ। তীব্র তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পাবনার জনজীবন। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

রোদের তীব্রতায় হাসফাঁস করছে মানুষ। এই গরমে কাজ করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর আর শ্রমিকরা। একটু প্রশান্তির আশায় গাছের ছায়া খুঁজছেন সবাই। গরমে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষায় বেশি করে পানি ও তরল খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে তীব্র তাপদাহে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পাবনার বিভিন্ন অঞ্চলে অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পরেছে। পানি না ওঠায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট।

পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার পাবনায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সম্প্রতি পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলায় গিয়ে দেখা যায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর সভায় অধিকাংশ নলকূপ দিয়ে পানি উঠছে না। ফলে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানিয়েছেন পরিবেশগত নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকায় ২৫ ফুট স্তর পৌঁছালেই পানি পাওয়া যায়। কিন্তু উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে গেছে পানির স্তর। প্রতি বছর তীব্র তাদাবদাহে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ অবস্থা আরোও প্রকট আকার ধারণ করে।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, পানির অভাবের কারণে আমি মুরগীর বাচ্চা উঠাতে পারছি না। এ দিকে ঈদ এসে যাচ্ছে। ২০/২৫ দিন পানি নাই। মুরগীর ব্যবসার উপরই নির্ভর আমার সংসার।

পাবনা জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহরাজ হোসেন বলেন, প্রকৃতিগত কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সাধারণত নলকুপের পানির স্তর ২৫ ফিটে থাকে। বর্তমানে পানির স্তর ৫০ থেকে ৭০ ফিট নীচে নেমে গেছে। বৃষ্টি হলে পানির এই সমস্যার সমাধান হবে।


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১



বিষয়: পাবনা


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top