মাদাগাস্কার জেলে বন্দী অসহায় পরিবারের পাশে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক
বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ৮ মে ২০২১, ০৮:৩৭
বাংলাদেশের চার জাহাজ শ্রমিক চাইনিজ মালিকাধীন একটি জাহাজে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে দাগাস্কারের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হন। তাদের মধ্যে ০২ জনের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। দীর্ঘদিন বিদেশের জেলে আটক থাকায় তাদের পরিবার আর্থিক অনটনে অসহায় হয়ে পড়েন।
এ বিষয়টি মরিশাসে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম তার বড় ভাই বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হককে জানালে তিনি উক্ত চার পরিবারকে খুঁজে বের করে শুক্রবার (০৭ মে) সহায়তা প্রদান করেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালে একটি চাইনিজ মালিকাধীন জাহাজ দাগাস্কারের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে। মাদাগাস্কার কর্তৃপক্ষের দাবী, তারা অবৈধ কাঠ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মাদাগাস্কারের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। আটকের পর মাদাগাস্কারের কোর্ট তাদেরকে ০৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করায় ২০১৯ সাল থেকে তারা জেলে এ দন্ড ভোগ করছেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশী কর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তারা শুধুমাত্র শ্রমিক হিসেবে জাহাজে কর্মরত ছিলেন। জাহাজের গতিবিধি সম্পর্কে তারা অবগত নন। জাহাজের নাবিকসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ চাইনিজ এবং মায়ানমারের নাগরিক। তারা জাহাজের এ গতিবিধির বিষয়ে বলতে পারবেন। জাহাজে কর্মরত সকলেই জেলে বন্দি আছেন।
বন্দি বাংলাদেশি চারজনের মধ্যে বাগেরহাটের ০২ জন হলো চিতলমারী উপজেলার মো. হাসিব সরকার ও মোংলা উপজেলার মো. আল ইমরান। মাদাগাস্কার জেলে বসে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তারাই একমাত্র পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের পরিবার নিদারুণ আর্থিক সংকটে রয়েছে।
ভাইয়ের মাধ্যমে জেনে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক তাদের পরিবারকে খুঁজে দুই দফায় চিতলমারী ও মংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পাশাপাশি মরিশাস দূতাবাস তাদের মুক্তির বিষয়ে যাতে পরবর্তী কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যায় সে বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: বাগেরহাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।